শিশুমনের স্বাভাবিক বিকাশ আজ দমনপীড়িত, প্রতিযোগিতামূলক প্রথার নিপুণ কষাঘাতে ক্ষতবিক্ষত।
স্বপ্নময় শৈশব রূপান্তরিত হয়েছে ভবিষ্যৎমুখী অর্থোপার্জনমুখী যান্ত্রিক অনুশাসনে।
আদর্শিক মানবিকতা আজ লুপ্ত,
স্থলে স্থলে স্থাপিত হচ্ছে বাণিজ্যিক কৃতিত্বের কৃত্রিম দেবালয়।
মানবিক বিকাশ নয়, অর্থের প্রত্যাশায় গড়ে তোলা হচ্ছে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত এক যন্ত্রমানব প্রজন্ম।

শৈশবের সহজাত স্বপ্নবীক্ষা আজ পরিণত হয়েছে আর্থিক উৎকর্ণতার নিপীড়ক রূপে।
নবজাগ্রত মনোজগৎ চাপা পড়ে যান্ত্রিক উৎকর্ষের কৃত্রিম অভিঘাতে।
লালিত্যবর্জিত লালনপ্রণালী শৈশবকে রূপান্তর করছে প্রতিযোগিতার নির্দয় যন্ত্রে।
মনুষ্যত্বের দীপ্তি নিভে যাচ্ছে বৈদেশিক কল্পলোকের আর্থ-বাস্তবতা গ্রাসে।

শৈশবের স্বকীয় উচ্ছ্বাস ও নির্মল বিকাশ আজ নির্বিচারে প্রতিস্থাপিত হয়েছে ফলপ্রসূতা-কেন্দ্রিক প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলের মাধ্যমে।
সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্য উপেক্ষিত হয়ে,
বহির্জাগতিক কৃতিত্বের প্রতিযোগায় শিশুদের রূপান্তরিত করা হচ্ছে এক ধ্যানহীন দক্ষতাযন্ত্রে।
আবেগহীন উৎকর্ষতার আড়ালে চাপা পড়ে যাচ্ছে মনুষ্যত্ব,
অপারগ কিশোর চিত্ত নিষ্ঠুরভাবে জর্জরিত অদম্য প্রত্যাশার অভিঘাতে।
এই নিয়ন্ত্রিত সামর্থ্যপ্রবণতায়, শিশুমন হয়ে উঠছে এক প্রগ্রামড সত্তা!
যেখানে ‘মানব’ নয়, 'মুদ্রা' হচ্ছে চূড়ান্ত পরিণতির মানদণ্ড।

=======