একই নীলে বিস্তৃত আকাশের নিচে মানবজাতির সম্মিলিত সহাবস্থান,
তবু অন্তর্দ্বন্দ্বের ঘূর্ণিপাকে পিষ্ট হৃদয়ের অবিনশ্বর স্নেহ।
প্রেম যেখানে ছিল সহজাত, নির্মল, অবিভাজ্য—
সেই শৈশবের অমল স্পর্শ আজ ক্লান্ত, ক্লিষ্ট, ক্লেদাক্ত।
ধর্মীয় অনুশাসনের আড়ালে বিভক্তির অঙ্কুর,
ভাষা ও জাতিসত্তার কৃত্রিম প্রাচীরে আজ গড়ে ওঠে বৈরিতার দূর্গ।
প্রকৃতির নিরপেক্ষতায়—
সূর্য যে সমান আলো দেয়,
বৃষ্টি যে সকল মাটিকে ভিজিয়ে দেয়—
সেই সার্বজনীন সত্যকে অস্বীকার করে মনুষ্যসভ্যতা।
মাতৃদুগ্ধে লব্ধ মানবিকতার পাঠ আজ নিষ্প্রভ,
স্বার্থের অন্ধস্রোতে ডুবেছে হৃদয়ের নিষ্কলুষতা।
ভালোবাসা আজ অনিশ্চয়তার ছায়ায়,
বিচ্ছিন্নতার বিবর্তনে ক্ষয়প্রাপ্ত তার মৌল স্বরূপ।
তবু আকাশের উদারতা আমাদের শিক্ষা দেয়,
মেঘের অন্তরালে যে আলো, তা বিভাজন চেনে না।
নদীর প্রবাহ যেমন চিরস্রোত, তেমনি হোক মানবতা,
হোক সীমান্তহীন, অবিনশ্বর, অখণ্ড।
স্মরণ করি মাতৃবাক্য:
“মানুষ হওয়া—এই তো চূড়ান্ত ধর্ম,”
সেই বাণীই হোক অন্তরের অলিন্দে পুনর্জাগরণের দীপশিখা।
ঘৃণার অবরোধ ভেঙে,
আসুন হৃদয় উঠোনে ভালোবাসার এক বিশাল বৃক্ষ রোপণ করি;
যার ছায়ায় এক আকাশের নিচে,
অসীম শান্তিতে বসবাস করুক আমাদের সমস্ত অস্তিত্ব।
==========