জীবনের খণ্ডিত অন্বয়ে, সময় যেন প্রতিস্বপ্নের ছিন্ন কোন কাচ,
যার প্রতিফলনে প্রতিনিয়ত প্রতিচ্ছবিত হয় অস্তিত্বের অসার ব্যাকরণ।
নীতি-পিপাসার অন্তর্জ্বালায় জর্জরিত এক আত্মা, নিজের নৈঃশব্দ্যের কুটিরে নির্বাক নির্জনে নিমগ্ন!
যেখানে প্রতিটি নিঃশ্বাসে সঞ্চারিত হয় অস্তিত্বের নিস্তব্ধ যন্ত্রণা।

আলোকহীন রাতের নিরবধি প্রসারতায়, সাক্ষিগোপালের মতো জেগে থাকে ক্লান্ত চেতনা!
নিয়ন আলোর অনুজ্জ্বল ঝলকে, প্রতিফলিত হয় অপ্রাপ্তির কাচপোড়া স্বপ্ন।
বাষ্পীয় ফুল্কির মতো অদৃশ্য বেদনার অনুকণাগুলি চোখের অন্তঃস্থলে ঘূর্ণায়মান,
যেন পরিণতি-অনুপলব্ধ এক স্বপ্নবিচ্যুত চেতনাস্রোত।

এই নিঃসঙ্গ নিস্তব্ধতায়, প্রতিটি মুহূর্ত দগ্ধ হয় আত্মনিরীক্ষার ধূপগন্ধে!
দগ্ধ হয় স্মৃতি, আকাঙ্ক্ষা, ও শূন্যতার এক দুর্বোধ্য সমীকরণে।
অস্তিত্ব প্রশ্ন তোলে, অথচ উত্তর অধরাই থেকে যায়;
কারণ সেই প্রশ্নও যেন জন্ম নেয় আত্মার নিজস্ব ছায়াঘোরে।

এভাবেই, বাষ্পরেখায় বোনা নিঃশব্দ ব্যথা—
অনন্তর অন্ধকারে মিশে যেতে যেতে রেখে যায় এক মৌন ইতিহাস,
রেখে যায় এক শূন্যতার অলিখিত কাব্য,
আর এক নৈতিক অস্তিত্বের দুর্বোধ্য ভাষ্যপট।

========