মানবতার নক্ষত্রপুঞ্জে আজও প্রতিফলিত হয় করুণা, সহমর্মিতা ও সাম্যের অনিবার্য অনুনাদ,
যেন কোনো মহাজাগতিক সংবেদনার অক্ষয় তরঙ্গ।
এই চেতনা জাতি, ধর্ম, বর্ণ ও ভূগোলের বিভাজনরেখা অনায়াসে লঙ্ঘন করে গড়ে তোলে এক সার্বজনীন ঐক্যের মহাসেতু,
যা মানবতাবোধের প্রকৃত মর্মমূর্তি,
যা উন্মীলিত বিবেকের দীপ্তিময় বিকিরণ।
অহংকারের অবগুণ্ঠিত অতল গহ্বরে বিপথগামী আত্মা সন্ধান করে এক আলোকিত নৈতিক দিশার,
যেখানে প্রস্ফুটিত হয় আন্তঃসম্পর্কের শ্রদ্ধাবোধ,
প্রস্ফুটিত হয় অবিচল বিশ্বাস এবং সমবেদনার অলঙ্ঘ্য গাম্ভীর্য।
পুঁজিবাদের বিষাক্ত প্রবাহ, যুদ্ধের রক্তরঞ্জিত অনুশাসন, আর বৈষম্যের প্রলম্বিত ধোঁয়াশা—
এই সমস্ত প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে, মনুষ্যত্বের মৌন অথচ অনিবার্য উচ্চারণ হয়ে ওঠে সময়ের একমাত্র নৈর্ব্যক্তিক আর্তি।
পৃথিবী যদি কারও হয়, তবে সে সকলের;
কেননা মানবতা কোনো রাষ্ট্ররেখায় সংবদ্ধ নয়।
সে এক অদ্বিতীয়, অশরীরী অর্ঘ্য, স্রষ্টার নৈসর্গিক উদারতায় সমর্পিত,
যা হৃদয়ের গভীরতম প্রদেশে জন্ম দেয় এক অনস্তিত্ববাদী সংহতির নিবিড় কম্পন।
এই হলো সেই অদম্য মানবচেতনা,
যা দ্বন্দ্ব নয়, সংহতি চায়;
যা বিভাজন নয়, বিস্তৃতি চায়;
আর যা অস্তিত্ব নয়, সহাবস্থানের অনুপম সৌন্দর্যে উদ্বেলিত।
==========