নিস্প্রাণ হৃদয়ের নিষ্ঠুর মুখোশধারী প্রতিমা—
যেন না হাঁটে এই ধরণীর বুকে।
যেন না ভেসে বেড়ায় সে মুখোশধারী ছায়া,
যার অন্তরাত্মায় মানবিকতার বিন্দুবিসর্গ নেই।
তার অস্তিত্ব এক নির্বাসিত মরীচিকা,
চেতনা থেকে অনন্তকাল নির্বাসিত এক করুণার ছায়া।
সে দেখে, কিন্তু দৃষ্টিতে মমতার স্নিগ্ধতা নেই;
সে শোনে, কিন্তু ব্যথার অনুরণন প্রতিধ্বনিত হয় না।
তার সহমর্মিতাহীন দৃষ্টি এক ধারালো শলাকা—
যা আশ্রয়ের কোমল আবরণ ছিন্ন করে,
বেদনার শেকড়ে অগ্নিশলাকা ছুঁড়ে মারে।
এই মানুষরূপী শূন্য প্রতিমা হাঁটে নির্বিকারতায়,
অথচ প্রতিটি পদক্ষেপে সে রেখে যায় হৃদয়হীনতার কালো ছাপ।
তার কণ্ঠস্বর নির্দয়, ভাষা ধারালো —
যেন শব্দের প্রতিটি ধার রক্তাক্ত করে ভালোবাসার কোমল অঙ্গন।
হে দো-জাহানের মালিক,
এই নশ্বর সৃষ্টির আকাশে আশ্রয় দাও সেই হৃদয়কে,
যে অগ্নিস্নাত, যে জ্বলে উঠে দয়ার শিখায়!
যে জেগে থাকে বিবেকের তীক্ষ্ণ জাগরণে।
মানুষ হোক অনির্বাণ প্রদীপ —
যার আলো শুধু বাহ্যিক আঁধার দূর করে না,
বরং আত্মার অন্ধকার বিদীর্ণ করে।
এই পৃথিবী চায় না সেই মুখোশধারী ছায়া,
যে দেহে মানুষ অথচ মনে প্রেত।
চায় না সেই নিঃশ্বাসহীন আত্মা,
যে বাঁচে অথচ অনুভব করে না।
চাই জাগ্রত চেতনা, চাই হৃদয়ের উষ্ণতা—
যে ভালোবাসায় জ্বলে, সহমর্মিতায় পুড়ে,
আর মানবিকতার আলোকে ছড়িয়ে দেয় সত্যিকার মানুষ হওয়ার দীপ্ত সুর।
মানুষ হোক মানুষ — বাহ্যিক বিভায় নয়, অন্তরের অগ্নিশিখায়।
=======