নিশ্চল এক সভ্যতার প্রান্তসীমায় দাঁড়িয়ে আছে আজকের মানবজাতি!
যেখানে হৃদয়ের স্থলে লোভের গহ্বর,
বিবেকের স্থলে এক নির্জন শূন্যতা।
রক্তে রাঙা এই ভূমি আজ প্রতিদিন প্রসব করে কিছু অপূর্ণ স্বপ্ন,
যাদের নিয়তি শুধুই ভাঙন, শুধুই অপচয়।
এখানে মানুষ মানুষের রক্তে চেতনাবিহীন উল্লাসে মাতে!
চোখে নেই বিন্দুমাত্র অনুশোচনা, অন্তরে নেই ন্যূনতম আলো।
এই সমাজ যেন এক শকুন-সমুদ্র—
যেখানে প্রতিটি দৃষ্টিতে আছে হিংসা, প্রতিটি শব্দে প্রতারণার বিষ।
ন্যায়বিচারের মিনার এখন দৃষ্টিহীনের প্রহসন!
দুর্নীতির অলিন্দে প্রতিধ্বনিত হয় মিথ্যার মুখরতা।
মানবতা আজ নিঃশেষ এক শব্দ, নির্বিকার স্মৃতি,
যা ইতিহাসের পাতায় শোকগাথা হয়ে রয়ে গেছে।
যে শহরের প্রতিটি গলি একদিন ছিল স্বপ্নের পথ,
আজ তা পরিণত আত্মপরিচয়হীন ছায়ার বিস্তারে।
মানুষের মাঝে আজ নেই কোনো সম্পর্কের উষ্ণতা!
আছে শুধু ব্যবচ্ছেদ, অন্ধ স্পর্ধা আর বিশ্বাসঘাতকতার দহন।
হাত বাড়ালেই পাওয়া যায় শূন্যতা,
আর মুখোমুখি হলে শুধুই আত্মস্বরের প্রতিধ্বনি।
বিচারের বর্মে মোড়ানো সমাজে আজ সত্য ও মিথ্যার ব্যবধান অবসন্ন।
এ যেন এক অনন্ত বিভ্রান্তি—যেখানে প্রতিটি নিশ্বাস বিষাক্ত বাতাসে বোঝা হয়ে বয়ে বেড়ায়।
কাগজের প্রতিটি শিরোনামে প্রতিধ্বনিত হয় লোভ, লাম্পট্য আর লুণ্ঠনের জয়গান।
আর আমরা?
আমরা সেই নির্বাক জনগণ, যাদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে অনির্বচনীয় নিস্পৃহতায়।
আমরা দেখি, জানি—তবু চুপ থাকি।
কারণ এই চুপ থাকাটাই এখন সবচেয়ে নিরাপদ, সবচেয়ে ‘সভ্য’।
=========