যেন ভালোবেসেছি শত রূপে শত বার,
বড় বড্ড ভালবাসি তোমায়।
আসমান থেকে নেমে আসা প্রথম উপন্যাস কন্যা স্বর্ণকুমারী দেবী তুমি।
তোমারে দেখে জিজীবিষা জাগে।
তোমার জন্য ২ টাকা মূল্য সংযোজন কর দিতাম বিরোধী দলকে।
শেষবার তোমাকে সেই ১৯৭৪ সালের OIC সম্মেলনে দেখেছিলাম পাকিস্থানে।
স্টক মার্কেটে ধ্বস নামলো।  
আমাকে একা করে তুমিও চলে গেলে নির্বাণ লাভের আসায়। আমি মানিলা তামাক খেয়ে টানা ১৯৯৮ দিন সাদের 'রেহেনা মরিয়ম নূর' ছবি দেখেছি।
১৮ বছর ভোট দিতে পারিনি, শুধু বলাকা গমের রুটি খেয়েছি।
কুমিল্লা ও নোয়াখালী সমতট এলাকা থেকে রাজশাহী দিনাজপুর ওঁরা ওদের সাথে ঘুরে বেরিয়েছি হতাশায়। নারী-পুরুষ সমান অধিকার কোথাই।
শুধু ২৮/২ এই সীমাবদ্ধ।
এরপর বন্যা হলো, ভূমিধ্বস হলো, ভূমিকম্পের ঝুঁকিও ছিল, উত্তর-পূর্বাঞ্চলে।
সাবমেরিন ক্যানয়নে কতবার ডুবেছি।
আমার হৃদযন্ত্র সংকোচিত হচ্ছিল, প্রসারণ হচ্ছিলনা।
কত শনিবারের চিঠি পাঠালাম।
একটা ৪৬ ডেসিমালের কম্পিউটার কিনে দিয়েছিলে। Modem, Domain Name IP,  Simplex সবই ছিল।
বলেছিলে তুমি "প্রিয় তুমি Bluetooth চালাবেনা।
এটার রেঞ্জ কম, মাত্র IEEE 802.15.
তাইতো, অপটিকাল ফাইবারে পাঠালাম Email.
ভুল করিনি @ চিহ্ন ইউজ করেছিলাম।
কিন্তু আসো নাই ফিরে।
দুঃখ একটাই, তুমি কম্বোডিয়া, ইন্দোনেশিয়ায় না গিয়ে নাথু লা পাস বর্ডার পার হয়ে উইঘুরে গেলে।
তুমি কি জানো ওখানে মানুষকে কত অত্যাচার করে।
ওহ! একি করলে তুমি!
Trafalgar Square বা মধ্য আমেরিকার মায়া সভ্যতায় কেন গেলেনা?
আমি না হয় আকাবা সমুদ্র বন্দর থেকে এডেন উপসাগর হয়ে ইংলান্ড যেতাম।
আজ আমি বুঝি, কেন রবীন্দ্রনাথ সম্প্রদান কারক বাদ দিয়েছিলেন,
কেন গাছের তেঁতুল কুমিরে খায়,
কেনই বা শঙ্খ ঘোষের মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে।
কত বার ডেকে ডেকে হয়রান হয়েছি।
ফাঁকি দিলে তুমি জীবন অংকে।
গরুর সংখ্যা বের করতে গিয়ে নিজেই সাত ঘাটে পানি খেয়েছি। তবুও ছাড়িনি,
৫ ফুট ডেকের উপর থেকে oxygen না নিয়েই ২১ দিন কাজ করছি,
তবুও আমি তোমার চোখে Peculiar. Why??
আজ বিষাদ চোখে হঠাৎ এসে দাড়িয়েছো দরজায়।
আজ নৈতিকতার মত অনৈতিক প্রশ্ন করে নৈতিকতা ফলাচ্ছ  ??
এখন ছবি দেখিয়ে বলছো এটা তোমার ভাই ছিল।
তুমি ভাল করেই জানো,
আমি Julius Ceasar চেয়েও কঠিন হতে পারি।


=========