মায়া এক অন্তহীন প্রপঞ্চ,
জটিলতার সূক্ষ্ম বুননে গাঁথা এক অদৃশ্য শৃঙ্খল।
এ যেন এক তৃষ্ণার্ত মরীচিকা,
যা কাছে টেনে নেয় অথচ মুক্তি দেয় না;
এ এক অন্তর্গত বিষাদ,
যা হৃদয়ের শিরায় শিরায় প্রবাহিত হয়—
অথচ ছিন্ন করা যায় না এক নিমেষে।

মায়া এক চক্রব্যূহ—
প্রবেশ সহজ, বহির্গমন অসম্ভব,
তার সুতোয় বাঁধা থাকে স্মৃতির অতল স্রোত,
যা কখনো দগ্ধ করে,
আবার কখনো প্রশান্তির ছায়ায় ঢেকে রাখে।
তবু মানুষ তাতে জড়িয়ে যায়—
জড়িয়ে যায় অজান্তে, অনিচ্ছায়, অথচ অবিরত।

এ এক অবিনশ্বর আবেশ,
যেখানে প্রতিটি অনুভূতি বদ্ধ কুঠুরির বন্দি!
ভালোবাসার অতল গহ্বর থেকে সে উঠে আসে,
আবেগের অনির্ণেয় সমীকরণে মানুষকে বেঁধে ফেলে চিরদিনের জন্য।
তার থেকে মুক্তির প্রয়াস এক আত্মপ্রবঞ্চনা,
কারণ মায়া তো আসলে আত্মার শেকল!
যা ছিঁড়লে রক্তাক্ত হয় মন,
দগ্ধ হয় অস্তিত্বের প্রতিটি কণা।

এ জগতে জন্ম নিলে মায়ার জাল অনিবার্য,
এর থেকে মুক্তি নয়,
বরং এই শৃঙ্খলের ভার বহন করাই নিয়তি!

=========