রক্তিম সূর্যের সনদে দীপ্ত, এ মাটির অন্তঃস্থ গহ্বরে প্রোথিত আমাদের ঐতিহ্যের শিকড়।
শতবর্ষব্যাপী গ্লানির বিষবাষ্প, নিপীড়নের নিষ্ঠুর অভিঘাত,
আর বঞ্চনার নিঃসীম তুষানলে নিঃশেষিত এক জাতির অন্তর্নিহিত ক্রন্দন—
সে ক্রন্দনেই জন্ম নিয়েছে দুর্বার এক বিজয়নিনাদ,
যা স্বাধীনতার পূর্ণচন্দ্রকে আহ্বান জানিয়ে
ইতিহাসের কোলাহলে জ্বলে উঠেছে দ্রোহের দীপ্ত মশাল।
আমরা লাঞ্ছনার শিকলে বাঁধা অস্তিত্বকে মুক্তির স্তবধ্বনিতে রূপ দিয়েছি।
স্বৈরাচারের কপোলচূর্ণ করে উচ্চারণ করেছি অগ্নিসংকল্পের ভাষ্য।
আমাদের রক্তনালী বেয়ে প্রবাহিত হয়েছে অপরাহ্ণ অগ্নিধারা,
আমাদের শিরায় শিরায় স্পন্দিত হয়েছে বিবর্তনের বিদ্রোহচেতনা।
আমরাই সেই জাতি, যারা অনিশ্চয়তার কুয়াশা ছিন্ন করে
সময়ের গর্ভে নবপ্রভাতের সূর্য জন্ম দিতে জানে।
যে রাজপথে আজও বারুদের গন্ধে ধূসর ছায়া,
সেই পথেই অঙ্কিত আমাদের পায়ের ক্ষয়াতুর চিহ্ন।
শহীদের শেষনিঃশ্বাসে আন্দোলিত বাতাস এখনো বলে—এই ভূমি, রক্তবিন্দুর বিনিময়ে অর্জিত,
আর কখনো শৃঙ্খলিত হবে না, হবে না নত!
এইজন্যই আজও, স্বাধীনতার উদার নীলিমার নিচে,
আমাদের তপ্ত হৃদয়গভীর থেকে উচ্চারিত হয় এক দুর্জয় প্রত্যয়:
আমরা জয়ী হবো—আমরা চিরঞ্জীব,
আমাদের বিজয়গাথা রচিত হবে চিরকালব্যাপী মানব ইতিহাসের দীপ্ত পৃষ্ঠায়।
========