নিশীথ নিসর্গে আবির্ভূত অধরা রূপ,
যেন অলৌকিক চিত্রনাট্যের অপূর্ণ অধ্যায়।
কপোলের কান্তি যেন করুণ শঙ্খনাদে ধ্বনিত—
প্রাচীন নন্দনকাননের গহন আলোকচ্ছটা।

নয়নের গভীরতা যেন এক অনন্ত অপেক্ষার প্রতীক,
প্রকৃতির স্থবিরতাকে ভেদ করে সে দৃষ্টি যেন,
দেবত্বের দীর্ঘ নিঃশ্বাস হয়ে—
আচ্ছন্ন করে চেতনার সকল স্তর।

তার পদধ্বনি— না, তা কোনো ধ্বনিত ছন্দ নয়,
বরং এক অতন্দ্র ছায়াময় নৈঃশব্দ্যের প্রক্ষেপণ!
যেখানে সময় ও চেতনাবোধ এক অলক্ষ্য সমবায়ে ধ্বংস ও সৃষ্টি—
এই দুই বিপরীত অভিপ্রায়ের সংমিশ্রণ ঘটায়।

বিভোর নয়নের গহ্বর থেকে উদ্ভূত দৃষ্টি—
যেন শতাব্দীপ্রাচীন কোনো দেবদূতের মৌন প্রতীক্ষা।  
তার পদচারণা অতন্দ্র ছন্দের নিরব অনুরণন!
যেন ধ্বংসস্তূপে জন্ম নেওয়া অমরতার মৃদু গুঞ্জন।
সে এক নিস্তব্ধ সৌন্দর্য—
প্রচ্ছন্ন, অথচ প্রবল; ক্ষণিক, তবু চিরন্তন।

এই সৌন্দর্য সংজ্ঞায় অগ্রাহ্য,
এর প্রকাশ ব্যঞ্জনায় নিহিত;
এ এমন এক অনুভব,
যা আত্মার অদৃশ্য অলিন্দে চিরস্থায়ী হয়ে থাকে।
থাকে অমরতার অতীতপানে ছুটে চলা এক নিঃশব্দ দীপ্তি হয়ে।

=======