মস্তিষ্কের অতল গহ্বরে সুপ্ত প্রিয়স্মৃতি কখনো কখনো জাগ্রত হয় নীরব বাতাসের হালকা পরশে,
স্মৃতিচারণের বিচিত্র রঙে—কখনো দীপ্তিময়, কখনো বিবর্ণ নৈঃশব্দ্যে।
যে হৃদয় একদিন ছিল স্নিগ্ধ সম্ভাবনার কুসুমবন,
আজ সেখানে সংহত হয়েছে শুষ্কতা, বালুকাবৃত নিঃসারতার বিষাদ প্রবাহ।

মসৃণ অনুভূতির প্রাচুর্য আজ ঢেকে গেছে অন্তর্দহনের মরুপৃষ্ঠে,
প্রেম-স্নেহ-আনন্দের স্পন্দন নিঃশেষিত হয়ে উঠেছে নীরব, রিক্ত এক প্রান্তরে।
তবু জীবনের অনিবার্য গতিধারায় বোধের অন্তঃক্ষরণ থেমে থাকে না,
অতৃপ্তির শূন্যতার মাঝে নবজাগরণের সম্ভাবনা ছড়িয়ে পড়ে অতল আশাবাদে।

চেতনার নিঃসঙ্গ প্রান্তরে যদি কভু কোন কোমল উষ্ণতা বিন্দুরূপে আভাস দেয়,
তবে সে-ই হয়ে ওঠে পরিত্রাণের প্রতীক, জীবনের নব পর্বের সূচনাবিন্দু।
বিষাদ-বিগতব্যথার মর্মরধ্বনি হয়তো নিঃশেষ হয় না,
তবু সময়ের সহিষ্ণু পরশে ক্ষতের প্রান্তে অঙ্কুরিত হয় পুনর্জীবনের মৃদু অঙ্গীকার।

জীবনের পৃষ্ঠপটে সর্বদা সবুজের আরোহন থাকে না;
তবু বালুর নিঃসার বুকে ফুটে ওঠে জীবনের ক্ষুদ্র মরূদ্যান,
যেখানে ব্যথার অন্তরালেও খুঁজে পাওয়া যায় বাঁচার নৈর্ব্যক্তিক মানে।
সেই উপলব্ধির স্পন্দনে নির্জীব হৃদয় আবারও প্রত্যয়ের নব সংগীত রচনা করে।
রচনা করে নতুন স্বপ্ন, আশাবাদী সবুজ আলোকরেখা'য়

========