নয়ন যেন এক অন্তঃসত্ত্বা প্রতীকের প্রতিচ্ছবি!
যেখানে চেতনার অপার ব্যঞ্জনা বিম্বিত হয়ে ওঠে স্নায়বিক অনুধ্যানের গূঢ় ব্যাকরণে।
ও চোখের দৃষ্টি যেন মনোজাগতিক মায়ার নিকেতন!
যেখানে অলিখিত উপখ্যানের মহাকাব্যিক প্রত্যাশা স্থাপিত এক সুশৃঙ্খল প্রতিসরণে।
তার প্রতিটি চাহনি, যেন মনোবেদনার অনুপম অনুকম্পা,
রহস্যঘন বিমূর্ততায় মনকে টেনে নিয়ে যায় অন্তর্জাগতিক ধ্যানসংকেতে।

অধরদ্বয় যেন আদিযুগের প্রেমস্নাত মন্ত্রশব্দের স্তবসমূহের শিলালিপিকৃত অভিসারণ।
সেখানে জমে থাকা ক্লেদজ রসধারা ধ্বনিরূপে উচ্চারিত হলে শব্দেরা সুধাতুল্য হয়ে ওঠে,
প্রেমের রসাত্মক অনুকম্পন যেন স্পর্শ করে চৈতন্যের আদি স্তরকে।

সুশ্রী মুখাবয়ব যেন ধ্রুপদী শাশ্বততায় দীপ্তমান এক চাঁদের আধ্যাত্মিক রূপান্তর!
যেখানে অপার্থিব বোধের প্রতিফলন ঘটে এক নিবিড় নৈঃশব্দ্যের স্থাপত্যে।
তা এমন এক দৃশ্যতত্ত্বের নির্যাস,
যা সময়কে আপেক্ষিকতাহীন এক নিস্তব্ধতায় আবদ্ধ করে।

কেশরাশি যেন, রেশমঘন অলকপুঞ্জ!
যেন রঙধনুপ্রভা-স্নাত স্বর্গীয় অলীক চিত্রকল্প,  
যেন আবেগের বিমূর্ত রেখাচিত্রে নির্মিত।
তার আন্দোলন কখনো বাতাসে মৃদুল আলিঙ্গন,  
কখনো স্থবির নিস্তব্ধতার মধ্যে এক অন্তর্লীন প্রত্যাশার সঞ্চার।

তুমি যেন এক নান্দনিকতার পরম ব্যঞ্জনা।
তুমি রূপ, রস, গন্ধ ও চৈতন্যের এক অভেদ সন্নিবেশ;  
যেখানে সৃষ্টিসত্তার নির্যাস অনন্ত প্রতিফলনে পরিণত।
তুমি আমার মুগ্ধতার শুদ্ধ প্রতিরূপ,
তুমি কবিতার অক্ষররেখায় স্থায়ী নিবেদিত এক জীবন্ত প্রতিমা।
মনের নিকুঞ্জে শ্বাসত প্রেয়সী আমার স্নিগ্ধ প্রিয়তমা।

==========