মানবতা আজ ভগ্ন সিংহদ্বার,
শকুনের ডানায় রক্তমাখা সন্ধ্যার বিভীষিকা।
অভিধানের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে শ্মশ্রুময় কালো হাত,
যেখানে প্রেমের শব্দ বিলুপ্ত ধ্বংসস্তূপে।
নগরীর প্রতিটি ইট গুমরে কাঁদে,
ভাষাহীন দেয়ালে বিধ্বস্ত ইতিহাসের আঁচড়।
নিপীড়নের লৌহশলাকা ভেদ করে ওঠে—
অসহায় শিশুর নিরব ক্রন্দন!
তবু সভ্যতা পাথরচাপা নির্বিকার।
তবুও, আমি দেখি শিকড়গাঁথা প্রতিরোধ—
এক বৃদ্ধার কঙ্কালসার হাতে দান করা শেষ রুটি,
এক নিঃস্ব জনকের চূর্ণ হৃদয়ে সন্তানের নাম।
তারা মানবতার ধ্বংসে জন্ম নেওয়া নক্ষত্র,
তারা অগ্নিস্নানের পরেও অবিনশ্বর প্রতীক।
এই ধ্বংসের মহাকাব্যে তবু জেগে থাকে
এক দুর্জয় শপথ—
মানবতা নিভে যেতে পারে,
কিন্তু তার আলো জ্বালাবে কেউ,
কোনো এক ভোরে, কোনো এক মগ্ন হৃদয়ে!
==========