নিরাসক্ত আকাশের নীলে লুকিয়ে থাকে এক অদৃশ্য বিধিলিপি,
যার প্রতিটি অক্ষর সময়ের শীতল কণ্ঠে উচ্চারিত হয় নৈঃশব্দ্যের মহাগাথায়।
অসীম শূন্যতার বুকে প্রতিটি স্পন্দন—
এক অনির্বচনীয় বিষাদের প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরে আসে,
যেন মহাকালের অন্তহীন প্রতিচ্ছবি।
নিস্পন্দ প্রান্তরের বিবর্ণ পত্রদল ধূলির অতল গহ্বরে বিলীন,
যেন নির্বাক স্বগতোক্তির মতো হারিয়ে যায় বিস্মৃতির অতল গভীরে।
জীর্ণ মহাকালের ধ্বংসস্তূপের উপরে জেগে থাকে নির্বাসিত বেদনাদের মৌন দীর্ঘশ্বাস,
তারা ইতিহাসের অনাহত শব্দ হয়ে সময়ের স্রোতে বয়ে চলে।
অন্ধকার চেতনাপ্রবাহের গভীরে একাকীত্বের দীপশিখা জ্বলে ওঠে—নিশ্চল, নির্বিকার।
কঠোর নিয়তির শিলালিপিতে খোদিত হয় অনিবার্য মৃত্যুর অনাদি প্রতিশ্রুতি,
যা সৃষ্টির সূচনা থেকে বহন করে চলেছে শূন্যতার নিরব সাক্ষ্য।
তবু, এই নিরাসক্ত ঔদাস্যের অন্তরালে লুকিয়ে থাকে এক নির্বাক প্রতীক্ষা।
অনন্তের অতলে অপেক্ষমাণ এক নিঃশব্দ আকাঙ্ক্ষা,
যা শাশ্বত পুনর্জন্মের দিগন্তসীমায় প্রহর গুনে চলে!
সময়ের গহ্বরে বিলীন হয়েও হারিয়ে যায় না,
কারণ প্রতিটি শেষের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে এক নতুন শুরুর প্রতিশ্রুতি।
==========