বিরহ এক নিঃশব্দ অগ্নি, যা হৃদয়ের অতল গহ্বরে নিবারণহীন জ্বলে,
তার শিখা দৃশ্যমান নয়, অথচ প্রতিটি অনুভূতির মর্মস্থলে রেখে যায় ছাইয়ের স্তূপ।
অপ্রকাশিত শোকের অনুনাদে আত্মা প্রকম্পিত হয়,
যেন বিস্মৃত অতীতের অনুজ্জ্বল প্রদীপ,
যার আলো নিভে গেছে এক অতল আঁধারে।
স্মৃতির রক্তিম কণাগুলো সময়ের কুয়াশায় আবৃত,
তুষারের শীতলতায় লুকিয়ে থাকা জ্বলন্ত লাভার মতো!
যে প্রতিটি শ্বাসে বহন করে অদৃশ্য অনলে দগ্ধ এক বিষাদস্নাত দীর্ঘশ্বাস।
প্রিয়জনের অনুপস্থিতি এক অন্ধকার গহ্বর,
যার গভীরতা মাপতে গেলে আত্মার সমগ্র অস্তিত্বই সেখানে লীন হয়ে যায়।
অপেক্ষা এক স্তব্ধ সত্তা হয়ে বুকের অলিন্দে পাথরের মতো চেপে বসে,
প্রতিধ্বনিত হয় নিঃসঙ্গতার করুণ আর্তনাদ—
যা বায়ুর নিস্তব্ধতায় ছড়িয়ে পড়ে, অথচ কোনো কর্ণ তা শোনে না।
হারানোর হাহাকার হৃদয়ের ক্যানভাসে এক অসীম বেদনার রং ছড়িয়ে দেয়,
যেখানে সন্ধ্যার রক্তাক্ত সূর্যের আলোয় আঁধারের দহন হয়ে ওঠে অনিবার্য।
প্রেমহীন নিঃসঙ্গতা এক অনড় পর্বত,
যার প্রতিটি স্তরে সংরক্ষিত থাকে বিসর্জিত ভালোবাসার শোকাবহ গাথা।
তার গায়ে আঘাত করলে ফিরে আসে শুধু প্রতিধ্বনি—
এক শূন্যতার সুর, যা ক্লান্ত বাতাসের মতন বয়ে চলে অনন্ত নির্বাসনে।
আশা ও হাহাকারের সংমিশ্রণে গঠিত হয় এক বিষণ্ণ সংগীত,
যা হৃদয়ের গহীন অরণ্যে প্রতিনিয়ত বাজতে থাকে—
অবিরাম... নিরবধি... অনন্তকাল।
==========