বার্ধক্যের অদৃশ্য শেকল যখন প্রাণশক্তিকে অবরুদ্ধ করে রাখবে,
যখন অস্তিত্ব হবে নিঃসঙ্গ জড়ত্বে পর্যবসিত,
তখনও যদি কিছু শ্বাস বাকি থাকে,
তবে চাই তোমার উষ্ণ করস্পর্শে আত্মিক নির্ভরতাকে ছুঁয়ে দেখতে,
যেন ক্লান্ত জীবনের অন্তিম সন্ধ্যায় ভালোবাসা হয়ে ওঠে একমাত্র আলোকচ্ছটা।

জীবনের অনিশ্চিত বিস্তারজুড়ে যেসব অনুভব রয়ে গেছে অলিখিত,
যা ভাষার সীমারেখায় ঠেকেও উচ্চারিত হয়নি,
তা নিঃশব্দে নিবেদন করতে চাই তোমার আত্মার অন্তর্গত প্রাঙ্গণে।
এই আকুতি কোনো ক্ষণজন্মা রোমান্সের জ্যোৎস্নাপাতে সিক্ত নয়,
বরং আত্মসমর্পণের সুদীর্ঘ পূর্ণচন্দ্র,
যেখানে প্রত্যাশাহীন তৃষ্ণার্ত ভালোবাসা আত্মার অন্তঃস্থ গহন স্তর থেকে উৎসারিত হয়।

সময়ের প্রলেপ দিয়ে আবেগকে ধোঁয়াটে করো না,
কারণ সম্পর্কের প্রকৃত মান নির্ধারিত হয়
উপস্থিতির মৌন দৃঢ়তায়—দূরত্বের কৌশলে নয়।
ভালোবাসা নিছক আবেগের নয়,
এ এক অনন্ত অপেক্ষার নিষ্কলুষ প্রতিশ্রুতি,
যেখানে প্রতিটি মুহূর্তের নিস্তব্ধতা জুড়ে খুঁজি তোমার উপস্থিতির অমোঘ স্পর্শ।

হে চিরন্তন প্রিয়,
হাতে হাত রেখে, নিঃশব্দ ভালোবাসায় আবৃত হয়ে বিলীন হতে চাই প্রেমানন্তের অসীম গন্তব্যে!
যেখানে আমি, তুমি, সময় ও শরীর,
সবকিছু মিলেমিশে পরিণত হবে এক অদ্বিতীয় চেতনাজগত।

===========