তোমার দৃষ্টি এক অতল কৃষ্ণগহ্বর,
যেখানে অনুভূতির সূক্ষ্ম কণাগুলো মহাজাগতিক আকর্ষণে নিশ্চুপ আত্মসমর্পণ করে,
বিলীন হয় অজ্ঞাত নৈঃশব্দ্যের গভীরে।
সে চাহনির প্রতিটি স্পন্দনে লুকিয়ে থাকে এক রহস্যময় অনিবার্যতা,
যা হৃদয়ের অলিন্দে সৃষ্টি করে শাশ্বত অতন্দ্র যন্ত্রণা।
তোমার অধর এক প্রলয়োন্মত্ত সিন্ধুর অমেয় জোয়ার,
যার উত্তাল বিক্ষোভে আবেগের অণুগুলো ক্রমাগত বিবর্তিত হয়,
গলে যায় অনুভূতির নীরব চন্দ্রালোকে।
সে জলোচ্ছ্বাসে ডুবে যায় সমস্ত যুক্তির প্রাচীর, ভেঙে পড়ে সমস্ত সীমানা,
আর হৃদয় পরিণত হয় অনন্ত বিসর্জনের নীরব তটে।
তোমার কণ্ঠস্বর এক অনাহত নাদব্রহ্ম,
যা শব্দের পারম্পর্যে জাগিয়ে তোলে অনুভূতির শাশ্বত সুরলোক।
প্রতিটি উচ্চারণ একেকটি ধ্রুপদী প্রতিধ্বনি,
যা মিশে যায় আত্মার অন্তর্গত অনুরণনে,
রচনা করে এক ব্যাখ্যাতীত সৌন্দর্যের বিমূর্ত সংগীত।
তোমার স্পর্শ যেন মরুর বুকে অলীক বারিধারা,
যার মায়াময় বিভ্রমে আত্মা শুষ্ক হয়ে ওঠে এক অগ্নিলীন মরুদ্যান।
সে সংযোগে জেগে ওঠে অনির্বচনীয় এক অনুভূতির জলোচ্ছ্বাস,
যা একাধারে প্রতারণার মত অস্পৃশ্য, তবু ধ্বংসের মত অনিবার্য।
তুমি এক যুক্তি-অতিক্রান্ত মহাসমীকরণ,
যেখানে প্রেমের সকল মান নির্ণীত হয় অসীমতার ব্যাসার্ধে।
তোমার অস্তিত্বের প্রতিটি মুহূর্ত, প্রতিটি অণু-পরমাণু ছড়িয়ে দেয় এক ব্যাখ্যার অতীত শূন্যতা,
যেখানে সমস্ত বাস্তবতা পরিণত হয় নিছক বিভ্রমে।
তুমি আমার চেতনার এক দুর্বোধ্য জ্যামিতি,
যার প্রতিটি রেখা, প্রতিটি বিন্দু অবধারিতভাবে তোমার অভিমুখী হয়ে ছুটে চলে,
তবু কখনোই স্পর্শ করে না তোমার অস্তিত্বের চূড়ান্ত সমাধান।
========