অলৌকিক নৈঃশব্দ্যের পর্দায় রচিত এক অন্তর্জাগতিক অভিজ্ঞান,
আলোকহীন নিসর্গের রুদ্ধপ্রাণ মুহূর্তে, জাগ্রত হয় হৃদয়ান্তরের গূঢ়তম স্তব।
বাহ্যিক দীপ্তিহীনতায় ডুবে থাকা প্রকৃতি যেন এক গহন ব্যঞ্জনার পাঠশালা,
যেখানে চাঁদের অনুজ্জ্বল কিরণ হয়ে ওঠে অনুভূতির প্রতীকী শিখা,
বাতাসের অনুচ্চারিত স্বরলিপি রচে এক গভীর সান্নিধ্যের ভাষাহীন প্রহেলিকা।
চেতনার গহন স্তরে বয়ে চলা স্মৃতির শ্বাসরোধী প্রতিধ্বনি—যেন এক পরাবাস্তব সংলাপ।
যেখানে শব্দ নির্বাসিত আর অনুভব হয়ে ওঠে মৌলিক অভিব্যক্তি।
অতীতের প্রান্তরে হারিয়ে যাওয়া মুহূর্তগুলো ফিরে আসে প্রলেপের মতো,
হৃদয়ের ক্ষতচিহ্নে রেখে যায় অনস্তিত্বের অক্ষরছাপ।
এই নিরালোক গৃহে, তুমি-আমি দুটি অস্তিত্ব, দুটি নৈঃশব্দ্য, দুটি অস্ফুট আকাঙ্ক্ষা!
যেন পরস্পরের প্রতিবিম্ব হয়ে আবর্তিত হই মৌনতার তীর্থভূমিতে।
ভালোবাসা এখানে উচ্চারিত হয় না;
বরং নীরবতার ব্যাকরণে বয়ে চলে হৃদয়সংলগ্ন এক অন্তর্লীন সংবেদ।
এ অন্ধকার কোনো প্রলয় নয়, কোনো বিলয় নয়,
বরং এক আধ্যাত্মিক অন্তঃবীক্ষণ,
যা প্রতিটি অনুভবকে বিশ্লেষণ করে হৃদয়ের মণিকোঠায়।
বিদ্যুৎহীন এই গৃহ, চাঁদের ক্ষীণ আলোকরেখা আর নিঃশব্দ বাতাস—
সবকিছু মিলে তৈরি এক ঐন্দ্রজালিক আবহ,
যেখানে অনুপস্থিতিতেই উপস্থিতির পূর্ণতা প্রতিফলিত।
এখানেই স্থিত, এক নিরব অথচ গম্ভীর সত্য লুকানো।
যেন এই নিঃশব্দতাই আমাদের সর্বোচ্চ সংলাপ।
========