বাতাসে রক্তের গন্ধ,
প্রতিটি ধুলিকণায় জড়ানো ক্ষত-বিক্ষত আত্মার আর্তি।
তবু চারপাশ অদ্ভুত নীরব।
যেন এই নীরবতাই হয়ে উঠেছে এক নিঃশব্দ চিৎকার,
যা কেউ শুনতে পায় না, কেউ শুনতে চায় না।

প্রতিবাদের কণ্ঠগুলো বন্দি হয়েছে এক অদৃশ্য শৃঙ্খলে।
ভাষাহীন মুখগুলো শূন্য দৃষ্টিতে চেয়ে থাকে—
মনে হয়, চোখের ভেতর জ্বলছে শঙ্কার এক স্থায়ী আগুন।
সে আগুনের শিখায় স্পষ্ট দেখা যায় প্রতারণার ছায়া,
যেখানে স্বাধীনতার নাম ভাঙিয়ে একে একে রাজমুকুট পরে রাজাকারের দল।

ইতিহাসের পাতাগুলো ভরে যায় কান্নায়।
সেই কান্না কোনো একক ব্যক্তির নয়, বরং একটি জাতির আত্মার কান্না।
যে দেশপ্রেম রক্ত দিয়ে লেখা হয়েছিল, তা আজ ঢেকে যায় মিথ্যের আলখাল্লায়।

তবু মাটি চুপ।
আকাশ জানে, এই নীরবতা ভাঙতে পারে শুধু সাহস।
হয়তো একদিন, কোনো চোখে জ্বলে উঠবে সত্যের দীপ্তি।
হয়তো একদিন, বাতাসে ভাসবে ন্যায়ের জয়গান।
যেখানে শব্দ নয়, সাহস হবে নূতন ইতিহাসের ব্যাকরণ।
কিন্তু আজ, এই নীরবতা দাঁড়িয়ে আছে শিকড়ের মতো—গভীর, অন্ধকার, এবং ভীষণ একা।

=========