আজও বাংলার আকাশে অস্তগামী সূর্যের রক্তিম প্রভা এক অপরিসীম জ্যোতির্মণ্ডলের সৃষ্টি করে!
যেখানে রঙিন রশ্মিরা মেঘপুঞ্জে প্রতিফলিত হয়ে এক অভিজাত নান্দনিকতার ছাপ রেখে যায়।
গোধূলির ক্ষণিক আবেশে আচ্ছন্ন সেই আকাশ যেন প্রকৃতির অলিখিত চিত্রপট,
যেন নৈসর্গিক সৌন্দর্যের নিঃশব্দ উচ্চারণ।
আলোকমালার সেই অন্তিম বিভা যেন বাংলার অতীত গৌরবের রক্তিম স্মৃতিচারণ,
যে ইতিহাস বারবার বর্ণমালায় বন্দি হতে চায়, অথচ ধরা দেয় না সহজে।
মৃদু অনুপ্রবাহে দুলে ওঠে কৃষ্ণচূড়া আর শিমুলের ডালপালা,
যেখানে প্রতিটি পত্রে লেখা থাকে জাতিস্মরের জাগরণ।
এই অদ্ভুত অপরাহ্ণের ছায়াপতনে বাংলার জনপদ যেন হয়ে ওঠে অতীন্দ্রিয় ধ্যানমগ্ন চৈতন্যের অন্বেষণস্থল।
অরণ্যের আড়ালে, নদীর বাঁকে, ধানের শীষে—
সবখানে সেই প্রান্তরিত লাবণ্যের প্রতিচ্ছবি।
ধ্বংস আর নির্মাণের চক্রব্যূহ পেরিয়ে বাংলার আকাশ আজও অপরাজেয়, দীপ্তিমান।
সেই অস্তরাগ হিয়া'য় মেখে, আমি দেখি এক নবজাগরণের সম্ভাবনা—
যেখানে কবির কলম, শিল্পীর ক্যানভাস, আর চিন্তকের চেতনাও বিকশিত হয়,
বিকশিত হয় বাংলার প্রতিটি মনে,
বিকশিত হয় ও-ই সূর্যালোকের শেষ প্রান্তে।
=========