অন্তঃস্থ জঠরে নয়,
জেগে ওঠে এক প্রাচীন অনিবার্যতা।
নিউরন-আলোকপুঞ্জে ক্ষুধার ছায়া—
জৈবিক বৃত্তির অতিলৌকিক উচ্চারণ।
অন্নতৃষ্ণা তো নিছক ইন্দ্রিয়ঘন চাওয়া,
তবু এক অলীক দংশনে—
শরীর আর চেতন-সারিণী ঘুলিয়ে দেয়
অস্তিত্বের তলানি।
কখনো সৃজনস্পন্দে শব্দবীজ ফোটে,
কলমের অগ্রভাগে ক্ষুধার বাচ্য অনুবাদ।
যখন প্রেম, অনুরাগ, অথবা স্পন্দিত স্পর্শ
পরিণত হয় মৌন দুর্ভিক্ষে—
তখন ‘খুদা’ নামে ডাকে অস্তিত্বের খোঁড়া হৃদয়।
ভাষাহীন চিৎকারে
নীরব ক্যানভাসে ফাটে অভিপ্রেত কামনা,
আর জন্মায়—
অনন্ত আকাঙ্ক্ষার দুর্বোধ্য নক্ষত্রজ।
ক্ষুধা শুধু শরীরের চাহিদা নয়—
একটি অস্তিত্ববাদী, চেতনাত্মক সৃষ্টিশীল তৃষ্ণা
========