পৃথিবীটা মানুষের হোক, ধর্ম থাকুক অন্তরে।
যেখানে মানুষ হবে মানুষের আশ্রয়,
সেখানে ধর্ম হবে সহিষ্ণুতা আর ভালোবাসার প্রতীক। সূর্যের আলো যখন দিনের শেষে মুছে দেয় পৃথিবীর কোলাহল,
তখন সন্ধ্যার আবহ যেন এক সুরেলা সেতার।
এই সময়ে মসজিদের মিনার থেকে ভেসে আসুক আজানের ধ্বনি,
সেই ধ্বনি যেন মানবতার আহ্বান।
পাশাপাশি মন্দিরে বাজুক ঘণ্টার সুর,
সেই সুর যেন ঐক্যের গান গেয়ে ওঠে।
ধর্ম এখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নয়, বরং সহাবস্থানের নাম।
আজানের সুর আর ঘণ্টার ধ্বনি যেন এক হয়ে সৃষ্টি করে এক অপূর্ব মেলবন্ধন।
এই মেলবন্ধনে না থাকে বিভেদ, না থাকে বিদ্বেষ।
ধর্ম থাকবে হৃদয়ের গভীরে,
থাকবে ভালোবাসা আর শান্তির প্রতীক হয়ে।
মানুষে মানুষে ভেদাভেদ মুছে গিয়ে যেন সৃষ্টি হয় এক নতুন পৃথিবী,
যেখানে প্রতিটি সন্ধ্যা যেন আসে, এক নতুন আশার বার্তা নিয়ে।
ধর্ম যদি মানুষের অন্তরে স্থান পায়, তাহলে সে ধর্ম হবে আলোর উৎস।
কোনো বিভেদ নয়, শুধু ভালোবাসা, সম্মান আর মানবতার উজ্জ্বল এক দৃষ্টান্ত।
এই পৃথিবী হবে এমন এক জায়গা,
যেখানে ধর্ম আলাদা নয়, বরং মানুষের হৃদয়ে থাকা একটাই বন্ধন।
পৃথিবীটা মানুষের হোক, ধর্ম থাকুক অন্তরে।
যেখানে ধর্ম শুধু একটা পরিচিতি নয়, বরং ভালোবাসা আর সহিষ্ণুতার প্রতীক।
সন্ধ্যার আকাশ যখন লালচে আলোয় ঢেকে যায়,
তখন শুরু হোক মানুষের হৃদয়ে শান্তির গান।
মসজিদের মিনার থেকে ধ্বনিত হোক আজান, তার প্রতিটি শব্দ যেন মনে করিয়ে দেয়—
মানবতা ছাড়া ধর্ম নেই।
মন্দিরের ঘণ্টাধ্বনি প্রতিধ্বনিত হোক চারদিকে,
তার প্রতিটি সুর যেন বয়ে আনে ঐক্যের বার্তা।
আজানের সুর আর ঘণ্টাধ্বনি একসঙ্গে মিলিয়ে তৈরি করুক এমন এক সুর,
যেখানে বিভেদের দেয়াল ভেঙে গড়ে উঠবে মিলনের নতুন পথ।
ধর্ম থাকুক মানুষের অন্তরে, বাহ্যিক আচারে নয়।
পৃথিবীটা হয়ে উঠুক এমন এক জায়গা,
যেখানে প্রতিটি সন্ধ্যা ভালোবাসা আর সম্মানের আলোকময় উৎসবে পরিণত হয়।
মানুষে মানুষে ভেদাভেদ মুছে গিয়ে জন্ম নিক এক মানবিক পৃথিবী,
যেখানে ধর্ম কেবল শান্তির নাম।
========