অন্তর্গত আত্মার গভীরে এক অনির্বাণ অগ্নি,
যার শিখা অদৃশ্য, তবু প্রজ্বলিত,
যা পুড়িয়ে খায় শিরায় শিরায় প্রবাহিত অনুশোচনায়,
আর অবিরাম দগ্ধ করে আত্মার অতল গহ্বর।

কোন মুহূর্তে ভেঙেছি ন্যায়ের দীপশিখা?
কোন ব্যর্থ আপসের বিনিময়ে বিকিয়েছি আদর্শ?
সময়ের সূক্ষ্ম সূচিবদ্ধ যন্ত্রণায় জন্ম নেয় কিছু প্রশ্ন,
এই আমি কি সেই আমি?
এটাই কি বুকের গভীরে জমিয়ে রাখা সুস্থ আদর্শ?
এটাই কি সুশিক্ষা'র মানবিক সৌন্দর্য?

আয়নার প্রতিচ্ছবিতে দগদগে ক্ষত,
সচেতন অবচেতনের অন্তঃসলিলা অনুতাপ,
যার ভারে নত হয়ে আসে হৃদয়ের প্রাচীন মিনার।
নিশীথ নিস্তব্ধতায় প্রতিধ্বনিত হয় এক চাপা আর্তনাদ!
বিবেকের শৃঙ্খলে বন্দী এক ক্লান্ত আত্মার আর্তচিৎকার।

আলো আর অন্ধকারের মাঝপথে দাঁড়িয়ে,
আমরা কি পারবো সেই শুদ্ধ শিশুটিকে ফিরিয়ে আনতে?
নাকি অনন্তকাল দগ্ধ হবো আপন বিবেক কুটিরে!
দগ্ধ হবো এই নির্বাক অথচ প্রজ্বলিত অনুতাপের অনলে?

বিবেকের এই দহন চিরন্তন,
এ এক নির্বাক আত্মদাহের যাত্রা—
যেখানে শূন্যতার মধ্যে জ্বলতে থাকে
এক অবিনাশী আগুন!
যে আগুনে জ্বলেপুড়ে অঙ্গার হয় মানবতার অস্থি মজ্জা।

========