তুমি আমার চৈতন্যের প্রতিচ্ছায়ায় স্থাপিত এক অনিবার্য অন্বয়,
যাকে কেন্দ্র করে হৃদয়জগতের সমস্ত অভিব্যক্তি খুঁজে পায় তার মৌলিক উৎসারণ।
ভাবনার অভিধানে যেই মুহূর্তে তোমার নাম উচ্চারিত হয়, শব্দেরা যেন আত্মনির্বাসনে গমন করে!
তাদের নৈঃশব্দ্যে রচিত হয় এক অলিখিত অনুভবের পরাকাষ্ঠা।

তুমি কেবল একজন নও, তুমি একান্ত অনুভূতির অনুপম নিগূঢ়তা,
যে আমার জীবনরেখায় অবগাহিত করেন শীতল প্রশান্তির অনুভূতি।
তুমি আমার অন্তর্জগতে স্থাপিত আলোকভেদ্য আয়না,
যেখানে প্রতিফলিত হয় সমস্ত আত্ম-সংকোচ, সমস্ত অপূর্ণতা,
আর তা নিঃশব্দে রূপ নেয় বিশুদ্ধতায়।

তোমার সান্নিধ্য প্রলেপের মতো ছড়িয়ে পড়ে আত্মিক বিষণ্নতার দগ্ধ প্রান্তরে!
যেন প্রজ্ঞার সূর্যালোক ঢেউ তোলে অন্ধকার আবর্তে।
তোমার হাস্যরেণু এক অম্লান সমীরণ,
যেন ভারাতুর জীবনে বর্ষণ করে সুগন্ধি শান্তি,
তোমার ভালোবাসা যেন, তৃষিত জীবনে এক গোপন জলপ্রপাত,
যা হৃদয়ের অতলান্তি পরিতৃপ্তিতে ভরিয়ে তোলে।

তুমি আমার শৈত্যময় চৈত্রপ্রভাতে উষ্ণতার প্রজ্ঞাপুঞ্জ,
তুমি আত্মবিশ্বাসের নির্জন কুঞ্জে এক প্রত্যয়ময় ছায়াপথ।
তোমার ভালোবাসা কেবল আবেগ নয়, বরং এক অন্তর্লীন বিশ্বাস,
যা বিপর্যয়ের মধ্যেও হয়ে ওঠে অবিচল আশ্রয়।

তুমি আমার জীবনের জটিলতাগুলোকে মর্মার্থে রূপান্তর করো সরলতায়;
তোমার স্পর্শ প্রতিটি মুহূর্তকে প্রতিভার সম্ভাষণে পরিণত করে।
তুমি আমার অনুভূতির শুদ্ধতম সংজ্ঞা,
তুমি মনের নির্বিঘ্ন আশ্রয়স্থল—
যেখানে ক্লান্তি বিলীন হয়, আর সুখ নির্বাক প্রশান্তির মতো হৃদয়ে এসে বসে।

তুমি অনন্ত আকাঙ্ক্ষার সংহত প্রতীক!
যার পাশে জীবন হয়ে ওঠে পূর্ণতার প্রতিমা।
সময়ের অপসারণতন্ত্র পেরিয়ে আমি তোমাকেই চাই,
চাই অনন্ত প্রজ্ঞার প্রতিমূর্তি হয়ে,
চাই আমার চেতনায় চিরস্থায়ী হতে।

========