আমরা কি ভাবার মতো একটিবার ভেবেছি
ন্যায় অন্যায় ভুলে আজ আমরা কোন পথে চলেছি?
ন্যায়-অন্যায়, নেক-গুনাহ সকলেই বুঝি
তবু কেন এত রংয়ে রূপ বদল করি?


অন্যকে মন্দ বলতে করিনা চিন্তা,
নিজে কতটুকু ভালো তাওতো জানিনা।
আমি-তোমাকে, তুমি-তাকে, সে-আমাকে;
এভাবেই করি কুৎসা রটনা।
ভাবার মতো একটিবার ভাবলে কি ধরা পরেনা-
যে, নিজেই করছি নিজের অবমাননা।


হায়রে বাঙালি বলে দেই গালি,
তবে কি আমি ভিনদেশি?
ভাবার মত ভাবলে কি বুঝা যায়না-
যে, করছি কত বড় বোকামি!


একই জাতি মোরা পরস্পর ভাই ভাই, একই ভাষায় কথা বলি।
তবে কেনো ভিন্ন মতবাদে চলি?
ভাবার মতো কেনো একটিবার ভাবতে পারিনা
যে, মোরাতো একই জাতি, একই বাসা, ভাষা;
একই বিছানায় হয় থাকা, একই থালায় খাই।
তবু কেনো মোদের মাঝে সমঝোতা নাই?


ভাবার মতো একটিবার ভেবে দেখি,
মোরাতো একই মায়ের সন্তান।
একই রক্তের ভিন্ন দেহে তবে কেন এত ব্যবধান?
কিসের নেশায়, কিসের আশায় আজ রক্ত এত গরম?
মা-বোনদের লাঞ্ছিত করতে কেন লাগেনা শরম?
ভাবার মত একটিবার ভেবে দেখি-
যে, নিজেরওতো  মা-বোন আছে।
আমি ঠিক না হলে তবে -
অন্যরা ঠিক হবে কেমন করে?


ভাবার মত একটু কি ভেবেছি আমি
যে, অন্যের গালে চড় মারা
মানে, ঘুরে ফিরে সে চড় নিজের গালে পড়া।
কেন নিজেই করছি নিজের সর্বনাশ,
কেন ধবংস করছি স্বাধিন এ বাংলাদেশ?
কেন আজ ভুলে যাই মোরা
একতা ছিল বলেই ৭১-এ পেয়েছিলাম স্বাধীনতা।


ভাবার মত একটু ভেবে, দল-মত, ধর্ম-গোত্র নির্বিশেষে
এসো হে বাঙালি সকল।
আজ করছি আহ্বান,
আজ হতে নাশ অবধি গাইবো সকলে সাম্য- মৈত্রীর গান।