পরাজিত সৈনিকের চোখে অস্ত্রের মৃদু শব্দ,
ঝরে পড়ে বিশ্বাসের শেষ কণা;
"ভগবান নাই";
নাই তার ছায়া জোনাকির মতো  
শহুরে কাকের ডানায়।  
ক্ষয়ে যাওয়া যুবকের নিঃশ্বাসে জমে  
চৈত্রের কর্কশ রোদ, মাটির গন্ধ;  
শুকনো নদীর বুকে ফাটল ধরা স্বপ্ন,  
কলমের কালি লেখে অস্তিত্বের দ্বন্দ্ব।

চৈত্রের মাটি ফাটা হাঁটুজলে শূন্যতার গান:  
নদীর গর্ভে শুধু ধূসর মৃত্তিকার স্তব্ধতা,  
আর আমার কলমের কালি—  
যে কালি জানে, অক্ষরের গহ্বরে কোনো দেবতা নাই;  
চিতার আগুন ছাই হয়ে বলে: "পৃথিবী শুধু একা।"  

বিধবা সাদা শাড়ি ভিজে যায় অশ্রুহীন বৃষ্টিতে,  
শিশুর কান্না গুঞ্জরে অন্ধকার ঘরে—  
নসিমন বিবির কর্ণকুহরে পৌঁছায় না সেই সুর;  
মাটির তৃষ্ণা, ফসলে আগুন, অভাগা কৃষকের  
খড়ের চোখে জমে ওঠে মহাকালের প্রতিবাদ।  

আকাশে ধূলির নক্ষত্র জ্বলে—  
মানুষের হৃদয়ে শুধু ছাই আর ছায়ার লড়াই;  
ভগবান নাই—নাই—নাই  
জানে মৃত্তিকা, আকাশ,
অস্তিত্বের যুদ্ধে জ্বলে মানবতার বার্তা।