তুমি ছিলে না দৃশ্যপটে,
তবু প্রতিটি দৃশ্য তোমার অনুপস্থিতির কাঠামো বয়ে বেড়াতো,
জীবনের প্রতিটি বাক্যে এক নিরব যতিচিহ্ন হয়ে তুমি দাঁড়িয়ে,
যেখানে ভাষা থেমে যায়,
তথাপি অর্থ জন্ম নেয়।
তুমি কোনো কণ্ঠস্বর নও—
তুমি সেই নিঃশব্দ,
যা শব্দকে তীক্ষ্ণ করে তোলে,
যেমন ঘন আঁধার প্রকাশ করে এক বিন্দু আলোকে।
আমার প্রতিটি সিদ্ধান্তের প্রান্তে,
তোমার এক প্রাচীন নীরবতা বসে থাকে—
পৃথিবীর প্রথম মৌলিক প্রশ্নের মতো:
“আসলেই কি তুমি নেই?”
তুমি ছিলে সময়ের পেছনে থাকা এক ছায়া-চিত্র,
না ছিলে ছোঁয়ার, না ছিলে বলার,
তবু যা ছিল, তা—
আমার চেতনার প্রেক্ষাপটে টানটান করে রাখা এক অদৃশ্য রেখা।
অনুষঙ্গ—
তুমি নও আলাপ,
তুমি তার নেপথ্য অনুরণন,
একটি গল্পের অসমাপ্ত ভাঁজ,
যেখানে পাঠক থেমে যায়, লেখকও থামতে বাধ্য।
তুমি ছিলে না,
তবে তুমি ছিলে—
যেমন নিঃশেষ হবার পূর্বমুহূর্তে
অস্তিত্ব অনুভব করে নিজের পরিপূর্ণতা।