আমি বাংলা—এই নামেই জেগে আছি,
তোমার ঠোঁটে ঠাঁই পেতে বলি—
“শুনো, আমি বাংলা।”
আমি বাংলা হয়েই বাঁচি,
বাংলার বুকেই রক্ত টেনে চলি,
শিরা-উপশিরায় ভাষার দীপ্ত শপথ—
আমি বাংলা, আমি শুধুই বাংলা।
তোমাকে জিজ্ঞাসা করতে চাই—
এই ভাষা, এই ভূমি, এই ইতিহাস,
তুমি কি তাদের রক্ষা করো যথাযথ?
এই গৌরব, এই ত্যাগ, এই চেতনাই তো আমি—
আমি বাংলা,
ভাষার দীপ্ত পদচিহ্নে হেঁটে চলা প্রতিটি প্রজন্মের নাম।
আমি যুগ পেরিয়ে আসি,
একুশে ফেব্রুয়ারির অশ্রুজলে ভিজি,
ভাষার দাবিতে পথে নেমে আসি বারবার।
আমি বাংলা হয়েই গাই—
তোমার মায়ের মুখে,
তোমার সন্তানের স্বপ্নে,
তোমার কণ্ঠের গভীরতম আর্তিতে—
আমি বাংলা।
আমি কারো ধর্ম নই,
আমি কারো সীমারেখা নই—
আমি কেবল আত্মপরিচয়ের জয়গান।
আমি বলি না ঘৃণা,
আমি বলি গর্ব,
আমি বলি এক ইতিহাস,
যার নাম বাংলা।
আমার বুক জুড়ে একটাই ধ্বনি—
“বাংলা বাংলা বাংলা”—
আমার চেতনার কাঁপুনি,
আমার অস্তিত্বের পরিচয়—
এই একটাই শব্দ।
তুমি যদি জানতে চাও আমি কে—
তবে শোনো—
আমি সেই কণ্ঠস্বর,
যে কণ্ঠে পৃথিবী শুনেছে স্বাধীনতার গান।
আমি সেই ভাষা,
যার জন্য জীবন দিয়ে এসেছিল মানুষ।
আমি সেই বাংলা—
তোমার, আমার, আমাদের আত্মপরিচয়।