চুপিচুপি রেখে গেলে চোখে,
কোনো অদৃশ্য রেখা—
নির্বাক কোনো প্রার্থনা, অথবা
ভগ্ন কোনো পূর্ণতার ছায়া।
আমি জানি না তুমি গেলে কোথায়,
তবু প্রতিটি দৃষ্টির আড়ালে
তুমিই রয়ে গেলে—
একটি অনুচ্চারিত স্পর্শের অভিধানে।
আমার দৃষ্টি এখন শব্দহীন নদী,
প্রতিটি ঢেউয়ে জেগে ওঠে
তোমার নিঃশ্বাসের প্রতিধ্বনি।
তুমি কি জানো,
অভিমানও একধরনের প্রেম—
যার ভাষা নেই, ব্যাখ্যাও নেই,
আছে শুধু অপ্রতিরোধ্য উপস্থিতি।
সেদিনের অর্ধেক উচ্চারণ আজও জমে আছে
আমার চোখের পাতায়।
তুমি চলে গেছ,
তবু রয়ে গেছো চিহ্নহীন এক মানচিত্রে—
যার দিগন্তে লেখা আমার নিজের নাম।
তোমার চোখে আমি দেখেছিলাম
কোনো অতল স্পষ্টতা—
যেমন আয়নারও গভীরতা থাকে,
তেমনি কিছু দৃষ্টিও আশ্রয় হয়ে ওঠে।
তোমার সেই একটুখানি তাকানো
আজও রয়ে গেছে
আমার সমস্ত অনুপস্থিতির ভিতর।
যেন নিঃশব্দে লেখা একটি দীর্ঘ কবিতা,
যার প্রতিটি শব্দ—তুমি, তোমার,
এখনও মাঝে মাঝে ভোরবেলায়
আমি তাকিয়ে থাকি সেই শূন্যস্থানে
যেখানে তুমি ছিলে না কখনও,
তবু ছিলে সবটুকু জুড়ে।