কবিতা- তীক্ষ্ণ তার রাগ,
ভালোবাসা এক অদ্ভুত মায়া,
নির্বাক রাতে গভীর ছায়া।
শব্দহীন এক গোপন সংলাপ,
চেতনার ভেতর অনন্ত জল্লাদ।
তর্কের মতন তীক্ষ্ণ তার রাগ,
তবু হৃদয়ে নত হয় অনুরাগ।
অস্তিত্ব ভেঙে গড়ে তোলে গ্রন্থি,
তাকে ছুঁতে গেলে ফিরে আসে স্ফীতি।
দৃষ্টির অতলে ঝরে শূন্যতা,
তবু সে ভরায় রন্ধ্রে রন্ধ্রে ব্যথা।
তার টান কোনো যুক্তি মানে না,
তবু জীবনের সমীকরণ তাকে ছাড়া ঠিকঠাক হাঁটে না।
ভালোবাসা—নয় শুধু লাল গোলাপ,
তার আছে বিষ, তার আছে শ্লোক ও শাপ।
তবুও সে ফিরে আসে বারেবারে,
আঁধার ভেদে মিশে যায় মনোজাগতিক আলো আর অন্ধকারে।
ভালোবাসা এক প্রাচীন ধাঁধা,
সময়ের পাতায় লেখা না-পাওয়া অনুসাধা।
প্রেম নয় শুধু তার বাহন,
তার শরীরে জড়ানো থাকে জন্ম ও মৃত্যু যান।
সে কখনো হয় বিপরীত বোধ,
ভালোবাসি বলেই রাখি গোপনে ক্রোধ।
স্মৃতির অন্ধকারে বোনা নিশ্ছিদ্র জাল,
ভালোবাসা কাঁদায়, আবার শেখায় আত্মস্থ করলেই ভাল।
তার নিয়ম নেই, মানে না বাঁচার হিসেব,
যাকে পাবে না, তাকেই চায়, এ তার নিঃশব্দ দৃষ্টিস্নান।
বিষন্ন সন্ধ্যায় সে বেজে ওঠে শঙ্খ বীণার মতো,
আর মনে হয়—এ কষ্টই যেন পরম সত্যের পবিত্র পন্থা।
ভালোবাসা এক অদ্ভুত মায়া,
দূরত্বে বেঁধে ফেলে ঘন সখ্যতার ছায়া।
যার মাঝে হেরে গেলেও লাগে জয়ন্তী,
সে তো নিঃশেষ নয়—সে তো অনন্ত সংলাপের মুখর পরিণয়।