যদি তোমার কাছে ফুলগুলি ভুল হয়—
তবে সুবাসের ব্যঞ্জনা বোঝো না তুমি;
তবু ফুল তো জন্মায়, নিজেরই অভিপ্রায়ে,
তোমার আলোকছায়ায় নয়।
সে পাঁপড়ি মেলে সময়ের মন্দিরে—
যেখানে অর্থেরও থাকে অর্থহীনতা,
আর গন্ধ... কেবল এক প্রত্নতাত্ত্বিক স্মৃতি,
যা ছুঁয়ে যায় না নাকে, বরং থেকে যায় ব্যথার চিত্বে।
তুমি তাকে সাজালে—সে সাজে, ঠিকই,
কিন্তু সাজেরও তো থাকে প্রথার নিষেধ,
শব্দে যেভাবে নিঃশব্দ গড়ে তোলে প্রহেলিকা।
তুমি কি জানো, মৌনতা কখনো কখনো এক ধরনের ভাষাঘাত?
আর যদি নাই পারো ছুঁতে
রাত্রির নিঃস্বর চূর্ণ শবদেহ—
তবে জোনাকির আলোকে কবিতা কোরো না,
কারণ সে আলো বহন করে এক মৃত উজ্জ্বলতা।
আলো সবসময় আশ্রয় নয়—
কখনো কখনো সে এক নির্বাক বিভ্রান্তি,
যা ছায়ার মতো তোমাকে ভ্রান্ত করে।
যদি ফুলে কাঁটা খোঁজো,
তবে তোমার দৃষ্টি ক্লান্ত;
যদি আকাশ কেবল নীল,
তবে তুমি এখনো মেঘের সাদা শোক পড়ো নি।
ভুল হয়?—ফুলের নয়,
ভুল হয় চোখের ব্যাকরণে,
ভুল হয় হৃদয়ের অলীক ব্যঞ্জনায়।
ভালোবাসা কি তবে এক অলিখিত ব্যাকরণ?
না কি এক ধ্বংসের পরম পরাবাস্তব?