দর্পণে তুমি—
মোহমুক্ত পুরুষতন্ত্রের সাজানো ছায়া,
সতীত্বের ঝুলন্ত মন্ত্র,
মিষ্টি মিথ্যার মোড়কে লিপ্ত।

তুমি বলো— “সম্মান চাই”,
কিন্তু পেছনে গোপনে বেঁধে রাখো জিহ্বা,
তোমার প্রশংসা চায় না মুক্তি,
চায় কেবল নিঃশব্দ নিধন।

তুমি তোমার দুই মুখে হাসো,
একটা মুখে সাজাও নারী স্বাধীনতা,
আরেকটা মুখে ছুঁড়ে দাও পুরুষতন্ত্রের ছোরা।

দ্বিচারিতার দর্পণে—
তোমার প্রতিফলন স্বচ্ছ নয়,
সদায় বিকৃত ও বিভক্ত,
অন্তরালে লুকানো ঘৃণা আর ভয়।

তুমি ভেবেছো—
মিথ্যা বানাতে পারবে জাল বস্তুতন্ত্র,
কিন্তু এখন সময় এসেছে—
ভাঙিয়ে ফেলতে সে দর্পণ,
ফুটিয়ে দিতে সত্যের রক্তাক্ত আঘাত।

দর্পণটা ভাঙাও—
নিজেকে দিও মুক্তি,
আর ভাবো—
এই দ্বিচারিতা আর চলবে না।