নষ্ট স্মৃতির কষ্টগুলি
আজকাল নিজেকে বড়ই বদ্ধপরিধির মনে হচ্ছে,
ভিতরকার কষ্টগুলি যেন ক্রমান্নই সর্বাঙ্গে ঠোক্কর খাচ্ছে।
তার অদ্ভুত শিহরণে ইচ্ছে করে নিজেকে অন্তরালে সংগোপনে ।
কখনো আবার মনে হয়, চলন্ত ট্রেনের সামনে নিজেকে একটু
লুন্ঠিত করি, ক্ষতবিক্ষত করি নিজেকে।
নাম না জানা অদ্ভুত কষ্টগুলি ভেবোধের মতো বিকলাঙ্গ করে তোলে আমার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ।
আমার খুব যন্ত্রণা — খুব কষ্ট হয়,
তখন ইচ্ছে করে লহিত জলে নিজেকে জ্বালিয়ে ফুরিয়ে সর্বশান্ত করি।
ভিতরকার অসহ্য কষ্টগুলি যখন নড়ে চড়ে উঠে, বুকের মাঝে প্রমাদ করে,
তখন ইচ্ছে করে অন্তরায় ঢেলে দিই বিষের বোতল —
বিষের বিষাক্ত ছোবলে নিমার্জিত করি নষ্ট স্মৃতির কষ্টগুলি।
নীরব কষ্টগুলির সংগমে কৃত্তিলাশের মতো ভীষন্ন মনটা আজ বড়ই গিন্নিত।
ঝরা বৃক্ষের মতো, ফুলহীন-পাতাহীন নিজেকে আজকাল বদ্ধপরিধিই মনে হচ্ছে।
ঝরা ফুলের মতো, পাপিষ্ঠ জীবন নিয়ে, বারবার জীবনের প্রত্যয়টুকু হারিয়ে ফিরি —
হারিয়ে ফিরি জীবনের মিথ্যে আশ্বাস,
হতাশার উদ্ধদহনে বুকের ভিতরটা জলে পুড়ে অঙ্গার হয়ে যায়।
নিঃস্তব্ধ হতাশার অবস্বাদগুলি কখনো কখনো আবার খোঁপার ফুল হতে চায় —
হাসনাহেনা, কিংবা বীর্দুশী— যাই হোক তারা, তুলবার পল্বে
নিজেও ধরেছিলাম হাতদুটানা,
কিন্তু নিঃশ্বাস ফেলার আগে তাও আবার নিঃশেষ হয়ে গেল।