আমি জানি, তুমি আমার নও।
এই জানা একমাত্র সত্য—
যা কোনো ধর্মগ্রন্থে নেই,
কিন্তু আত্মায় গাঁথা।

তুমি আমার নও,
তুমি কোনোদিন ছিলে না।, থাকবে না, থাকার কথা নয়।
আমি শুধু এক ধরণের সম্ভাবনা হয়েছি—
যাকে তুমি ছুঁয়েও ছোও না,
দেখোনি—শুধু এড়িয়ে গেছো, নিঃশব্দে।
তবু কেন আমি,
নিজেকে ভেঙে ফেলি
তোমার নামে?

তুমি আমার নও।
তোমার জন্য আমার অপেক্ষা
একটি নির্বাক মহাকাল,
যেখানে সময় থেমে থাকে না—
কিন্তু প্রেম জন্মায় না আর।

তুমি আমার নও।
তোমার জন্য আলোর সমস্ত উৎস আমি নিভিয়ে রাখি,
যেন একদা তুমি এলে,
এই অন্ধকারেই চিনে ফেলো আমায়!

তুমি আমার নও।
তবু আমি ফিরে আসি—
নির্বাসিত আত্মার মতো,
প্রত্যেক পূর্ণিমায়,
প্রত্যেক বৃষ্টিতে।

তুমি আমার নও।
তোমার জন্য আমি রচনা করেছি
অবাস্তব বিষণ্নতার একটি ধর্ম,
যেখানে তুমি ঈশ্বর, তুমিই দেবী,
তবু প্রার্থনার কোনো দরজা নেই।

তুমি আমার নও।
তোমার জন্য আমি দিনের সংজ্ঞা বদলে ফেলেছি—
সূর্য উঠলেও আর আলো হয় না,
আলোক শুধু বিষ হয়!

তুমি আমার নও।
জলের মুখে মুখ রাখি,
ভেবেই নেই প্রতিফলনটা আমারই—
ভেবি নিই, তুমিই;
তুমি, যে কোনোদিন আমায় দেখেও দেখোনি।

তুমি আমার নও।
তবু আমি তাকিয়ে থাকি—
একটি দৃষ্টিশূন্য অনন্তে,
যেখানে 'তুমি' মানে
শুধু এক ধরণের শূন্যতা,
যার ওজনই আমাকে টেনে রাখে নিচে।

তুমি আমার নও।
তবু ভালবেসে ফেলেছি,
যেন আত্মহত্যা নয়—
নিজেকে গোপনে হত্যা করার চর্চা মাত্র।

তুমি আমার নও।
হয়তো আমি কিছুই নই—
শুধু একটি ভুল উচ্চারণ,
তোমার বিস্মৃত কবিতার প্রান্তে।
তবু আমি আছি—
এই ‘না’–এর ভিতরেই।
তুমি না হয় নই,
আমি নিজেই হবো আমার সমাধি।