সংসার বড় আজব জায়গা-
একদম আফ্রিকার জঙ্গলের মতো।


কখন যে কার হৃদয়ে
কোন ভয়ঙ্কর জন্তু ডেকে ওঠে কে জানে!
কখন যে কার মনে
কোন বিষধর সাপ ফণা তোলে কে জানে!
কখন যে কার অনুভূতি
কোন প্রজাতির শকুনের মতো হঠাৎ মানুষের মাংস খেতে শুরু করে কে জানে!
কখন যে কার দু হাত
পিশাচ প্রজাতির গাছের মতো ছোট পোকার রস নিংড়ে নেয় কে জানে!


আবার জঙ্গলে মশা প্রচুর-
বিরল প্রজাতির মশা:
সুযোগ পেলেই কামড়ায়!
তারপর কত রকমের জ্বর আসে-
ম্যালেরিয়ার জ্বর, ডেঙ্গুর জ্বর,চিকুনগুনিয়ার জ্বর...
এখানে কচ্ছপ ধুপ নেই,
কারণ সব প্রজাতির কচ্ছপই প্রায় বিলুপ্ত।
সারাদিন ওডোমস মেখে বসে থাকা ছাড়া কোনও উপায় আর বেঁচে নেই!


কুটিল মানুষ জন্তুদের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে পোষ মানিয়ে রাখে,
সাপেদের দাঁত ভেঙে বিষ বার করে নেয় আধুনিক পদ্ধতিতে,
পাখিদের খাঁচার বন্দি করে,
গাছগুলো কেটে ফেলে...
মশারি খাটিয়ে শোয়...


সরল মানুষের বুকে সাহারার হিমশীতল বিবর্ণ হাহাকার,
জঙ্গলে থাকলেও...


কবি দুজনের মাঝামাঝি-
জঙ্গলের ঘাসও কাটে, আবার ঘাসে মুখ দিয়েও চলে।