১) আইন


আইনের ধারা নদীর স্রোতের মতো
কেবল বয় না
সময়ে অসময়ে নতুন ঢেউ ওঠে নদীর বুকে।


পুরোনো আইন ভেঙে নতুন আইন গড়ে।
পুরোনো আইন নেই, তবু নতুন আইন আসে।
পুরোনো আইন নিপাত যায়, নতুন কিছুই হয় না।


আইন সমাজের অঙ্গ, সভ্যতার অঙ্গ,
কিন্তু তোমার আমার সম্পর্কে
কোথায় আইন, কোথায় কোর্ট?
সম্পর্ক সকল আইনের ঊর্ধ্বে,
আইন কখনোই সম্পর্কের ঊর্ধ্বে নয়!


২) বিচার


মানুষের বিচার করার অধিকার মানুষকে কে দিয়েছে?
কোনো মানুষই পাপ মুক্ত নয়,
তাহলে অপরের পাপের বিচার সে করে কিভাবে?
তাহলে কে করবে মানুষের পাপের বিচার?
ভগবান?
কোথায় ভগবান?
তাকে খুঁজে আনে সাধ্য কার?


মানুষের পাপের বিচার করবে সময়-
সময় যেমন মানুষকে ওপরে তোলে,
অসময়, সময়ের প্রতিরূপ,
তেমন মানুষকে টেনে নিচে নামায়!  


৩) ধ্যান


ধ্যান করলে তাঁকে দেখা যায় না,
দেখা যায় কেবল নিজেকে।
পরিস্থিতির চাপে পড়ে মানুষ নিজেকে হারায়
আর একাগ্রতা খুঁজে দেয় মানুষের অস্তিত্ব।
তাই ধার্মিক বলে ধ্যান করি না,
সকল অধর্মের ভিড়ে যেন নিজের ধর্মবোধকে না হারাই।