ইঁদুর কিভাবে গণেশের বাহন হতে পারে!
ওই অত বড় দেহটা ওইটুকু প্রাণী
কিভাবে বয়ে নিয়ে যাবে!
এর মানে অন্য।
সফলতা পেতে হলে সমস্যার যে জাল
চলার পথে বিছানো থাকে-
তাতে সকল প্রাণী আটকে পড়ে-
ইঁদুর সেই জাল কেটে অনায়াসে বেরিয়ে যায়।
গণেশ বিঘ্নহর্তা।


কার্তিকের বাহন ময়ূর কেন?
ময়ূর চির সুন্দর, কার্তিকও তাই।
ময়ূর দুর্দান্ত শিকারী- অনায়াসে বিষাক্ত সাপ
মেরে ফেলে তাকে আস্ত গিলে খায়।
ময়ূর শত্রুর ষড়যন্ত্র ধরে ফেলে।
কার্তিক দেব সেনাপতি।


রাজহাঁস দুধে জলে আলাদা করে খায়।
দুধ এখানে জ্ঞান, আর জল অজ্ঞান।
মা সরস্বতী জ্ঞানের দেবী।
তিনি আলোর পথ দেখান।


পেঁচা রাতের অন্ধকার ভেদ করে এগিয়ে চলে
কারণ সমৃদ্ধি পেতে হলে অন্ধকারে চলা শিখতে হয়।
আবার সম্পদকে রাতের প্রহরী রক্ষাও করে।
সম্পদ না রক্ষা করতে পারলে সমৃদ্ধি আসে না।
মা লক্ষ্মী সমৃদ্ধি ও সম্পদের দেবী।


এতো গেল ছেলে মেয়েদের কথা,
এবার আসি মা বাবার কথায়।
মা দুর্গার সিংহের মত তেজ-
তিনি সিংহ বিক্রমে অসুর দমন করেন।
ধ্বংসের দেবতা মহাদেব।
একটা ষাঁড় এক ঘন্টায় পুরো গ্রাম লন্ডভন্ড করে দেয়-
তার এমনই রাগ।


তাহলে কবিদের বাহন কে?
তারা শব্দ দিয়ে সভ্যতার বুনিয়াদ বুনে চলে,
যেভাবে বাবুই পাখি বাসা বুনে থাকে।