১)


'তুমি শিক্ষিত ছেলে হয়ে কুকুর দেখে ভয় পাচ্ছো'!


'কুকুর শিক্ষিত আর অশিক্ষিতর মধ্যে ফারাক বোঝে না।
শিক্ষিত মানুষের সাথে যা ব্যবহার করে,
অশিক্ষিত মানুষের সাথেও সেই একই ব্যবহার করে।
এইখানেই যত ভয়'।


'তা বলে অশিক্ষিতর মতো ভয়ে পালাচ্ছিলে'!


'সুযোগ বুঝে পালাতে সবাই জানে,
তা সে শিক্ষিতই হোক বা অশিক্ষিত।
এখানে শিক্ষিত বা অশিক্ষিত কোনো ব্যাপার নেই-
ব্যাপার কেবল ওদের কামড়ানো স্বভাব থেকে নিজেকে বাঁচানো'।


'ওদের লেজে পা না দিলে ওরা কখনোই কামড়ায় না'।


'মানুষের তো লেজ নেই, তবু মানুষ সবথেকে বেশি কামড়ায়'!


২)


'পিছনের ডান দিকের চাকার তলায় কুকুর'।
বাস কন্ডাক্টর বাস চালককে বললো।
চালক বাস থামায় নি, মানুষ হলে থামাতো, তাই জিজ্ঞেস করা।
কোনো পুলিশ কেস হবে না।


চালক হল শোষণ।
কন্ডাক্টর হল শোষণ যন্ত্র।
বাসের অপর নাম ঋণের বোঝা।
চাকার নাম সুদ।
যে কুকুরটা মরলো, সে প্রলেতারিয়েত।


সে বেঁচে থাকতে সমাজ হয়তো
তার দিকে কখনো কখনো চোখ পাকিয়ে তাকাতো,
কিন্তু এখন সে দুনিয়ার সবথেকে নোংরা জিনিস-
যদি সমাজ তার দিকে ভুল করেও তাকায়,
তাহলে পরপর তিন দিন শান্তিতে ভাত খেতে পারবে না!