১) অতি


আলো নেই,
চোখে দেখবো কীভাবে?
অতি আলোয় আবার চোখ অন্ধ।


ভালো নয়,
সকলের চোখে খারাপই।
অতি ভালোয় কিন্তু জীবন বেপরোয়া।


আশা নেই,
জীবন বৃথা।
অতি আশায় আবার জীবন নষ্ট।


পাওয়ার কোনো শেষ নেই-
কিছু না পাওয়ায় আক্ষেপ,
কিন্তু অতি পাওয়ায় চরিত্র নষ্ট।


২) প্রকৃত কবি


সেই প্রকৃত কবি,
যে জোর দিয়ে বলতে পারে,
'আমি যা লিখবো, সেটাই আইন'।


৩) দীক্ষা


গুরু শিষ্যকে দীক্ষা দেন।
গণতন্ত্রে আবার গুরু শিষ্য কী?
আমি আমার গুরু,
আমি আমারই শিষ্য।
যেখানে তারতম্য,
সেখানে গণতন্ত্র লাঞ্ছিত।


৪) ধৈর্য কম


বিনা অপরাধে বাচ্চাদের মারলে,
বড় হয়ে তারা যে অপরাধী হয়ে উঠবে-
তখন সমাজ কী আপনাদের মতো মা বাবাদের ঠাঁই দেবে!
বাচ্চাদের আকাশের চাঁদ দেখিয়ে ভুলিয়ে দিন-
চন্দ্রযানে চাপতে গেলে লাগে অসীম ধৈর্য।


৫) চক্ষুদান


সমাজ কেমন অন্ধ দেখো-
মায়ের চক্ষুদান মায়ের জাতির হাতে হয় না-
যারা মায়ের জাতিকে পায়ের তলায় রেখে মায়ের পুজো করে,
কেবল তাদের হাতে হয়।


মায়ের চোখ অন্ধ কিনা জানি না,
তবে মায়ের জাতির চোখ এখন খুলে গেছে,
আগে যা অন্ধ ছিল।
তারাই খুলে দিয়েছে চক্ষুদাতাদের চক্ষুদ্বয়।  


৬) শিয়াল গুলো


'শিয়াল গুলো মায়ের ভোগ খেতে এসেছিল,
তাড়ালে কেন'?
'সে কি, মায়ের ভোগ শিয়ালে খাবে,
তা তো মানুষের খাওয়ার কথা'!
'মা যে সময়ের রূপ,
জীবন তার তুচ্ছ বাহন, জড়তা কাটিয়ে ওঠো'।
'