অবশেষে দেশের মাটিতে পা রাখা গেল।
চেনা মাটিতে পা রেখে মনে হল
ভারী যা কিছু বিলীন হয়েছে শূন্যে
আর হালকা যা অধিকার করল
হাহাকার করা বুকে।
এক নিমেষে বুঝলাম নিজের অস্তিত্ব।
নেভার আগে দপ করে প্রদীপ জ্বলে ওঠে,
তারপর জ্বলে যায় তার বুক।
কিন্তু প্রদীপের শিখা চঞ্চল হলেও
নিজের স্থিরতায় সে ফিরে আসছিল বারবার।
তখনই বুঝেছিলাম এ যাত্রায় বেঁচে যাবো।
কিন্তু যাদের প্রদীপের বুক জ্বলে গেল,
তারা তো এখনও আটকে আছে সেই মরু জঙ্গলে।
তাদের কী শেষ রক্ষা নেই?
তাদের জন্য বিমান না গেলে,
পাখির ডানায় চেপে তারা দেশে ফিরতে পারবে না!
বেঙ্গমা বেঙ্গমী গেছে সেখানে-
কথা দিয়েছে উদ্ধার করে আনবে অসহায়কে!
ভয় হয় যদি গুলির শব্দে ভেঙ্গে যায় রূপকথার স্বপ্ন।
মানুষের ভিতর মানুষ হারায় জানি
আবার এও মানি মানুষের ভিতরেই মাথাচারা দিয়ে ওঠে অমানুষ।
বেঙ্গমা বেঙ্গমীকে মানুষ দেখতে পেলেও, অমানুষে দেখতে পায় না।
এইখানেই নিশ্চিন্ত নিঃশ্বাস!
অপেক্ষায় রইলাম পথ চেয়ে।