যে কোনো দিনও দুঃখ পায়নি,
সে কোনো দিনও পরের দুঃখ অনুভব করতে পারবে না।
কিন্তু দুঃখের বিষয় এটাই:
সুখ কারো চিরকাল থাকে না-
অবতার শ্রী সীতাপতিও চোদ্দ বছর বনবাসে ছিলেন।
মানুষ কোন হরিদাস পাল!
তাই সুখের সময় দুঃখী মানুষকে কখনো কষ্ট দিতে নেই।
হিসাবের খাতায় সেটা সুদ হয়ে লেখা হয়
আর শোধ হয় সুদে আসলে।
কাঁদালে কাঁদতে হবে, তাই কারো চোখের জলের কারণ হয়েও না।
দুঃখীর পাশে দুঃখের দিনে থাকলে
নিজের দুঃখের দিনে লোকবল পাওয়া যায়-
এন্ড্রোকেল্স ও সিংহের গল্পটা খুব মনে পড়ছে।
এন্ড্রোকেল্সরাই জিতবে এই জগতে।
যারা অট্টহাসি হাসে অপরের চোখের জলে,
তাদের সুখের হাসি হারায় অথৈ জলে।
হাতের পাঁচটা আঙ্গুল সমান হয় না
আর অপরকে পায়ের তলায় রাখাটা মানুষের স্বভাব।
মানুষ হয়েই বাঁচতে হবে মানুষেরই হাত থেকে
কারণ পশু খাঁচায় বন্ধ, তাই অক্ষম সে লড়তে।
দুঃখের দিনেও হাসতে হবে সুখের হাসি
কারণ সমাজ লুটে পুটে খাবে সব যদি সে জানতে পারে একবার
কেউ তার পথে ঘাটে দুর্বল হয়ে ঘুরে বেড়ায়।
আঘাত করা নয়, আঘাত সহ্য করাও নয়,
আঘাত এড়িয়ে যাওয়াটাই বাঞ্ছনীয়।
যে কোনো দিনও দুঃখ পায়নি,
তাকে মনুষ্যত্ব শেখানো পাপ।
তাই দুঃখ আসুক মানুষের জীবনে, মানুষ বরণ করে নিক তাকে।
তাহলেই মানুষ হয়ে উঠবে প্রকৃত মানুষ
কারণ সে অনুভব করতে শিখবে অপরের ব্যথা।