মন্দির হতে মূর্তি সরিয়ে রাখি মানুষের দরবারে।
মানুষের কত মূর্তি দেখো ব্যস্ত নানান কারবারে।


মূর্তির প্রাণ জ্বলে মানুষের নয়নে।
মানুষের নয়ন জ্বলে জীবনের বয়ানে।


চাতালে জ্বলা মোমবাতি রাখি হৃদয়ের নিভৃত কোণে।
আকাশের যত তারারা আছে খসে পড়ুক জনে জনে।


মোমের আলোয় ঘেরা মানুষের দৃষ্টি।
মানুষের দৃষ্টি ঘেরা জীবনের সৃষ্টি।


হাতে থাকা পুজোর মালা ভাসিয়ে দিক স্রোতের জল।
জলের স্রোতে ভেসে যাক জীবনের যত অবাধ্য কোলাহল।


পুজোর মালায় বাঁধা মানুষের আঁখি।
মানুষের আঁখি বাঁধে জীবনপাখি।


মন্দিরের দরজা খুলেছে কে হঠাৎ হাট করে।
খোলা হাওয়া ঢুকে যাক, মুক্তি দিক অন্ধকারে।


দরজা দিয়ে দেখে মানুষের কৌতূহলী চাহনি।
চাহনি গোনে একে একে জীবনের হয়রানি।


ঘন্টা খানি খুলে রেখেছে কে চাতালের এক পাশে।
চাতালের ফাটল জুড়ে যাক জীবনের উষ্ণ পরশে।


ঘন্টা খানি দোলায় মানুষের দু চোখ।
মানুষের দু চোখ দোলায় জীবনের জমক।


চূড়া মিলিয়ে গেছে আকাশ পানে।
উচ্চতার কথা কী শক্ত মাটি জানে?


চূড়া এখন পায়না নাগাল মানুষের নজর।
নজর কাড়ার মতো তাই জীবনেরই খবর।