১) মধু


ওরা সুন্দর বন থেকে
মৌচাক ভেঙে মধু আনবে বলে
বনবিবির পুজো করলো,
যাতে জীবিকা অর্জন করতে গিয়ে
বাঘের হাতে ওদের জীবন না যায়।


আমি কোলকাতায় এসি ঘরে বসে
কম্পিউটার-এ কাজ করি রোজ।
গেটের বাইরে রক্ষী দাঁড়িয়ে,
যাতে অসভ্য লোক ভিতরে না ঢুকতে পারে
আর সভ্য লোকের পাস লাগে।


আমি দেবী দুর্গার পুজো করি রোজ।
কোথায় তাদের বনবিবি-
এক আদিম অনার্য দেবী।


কিন্তু আমার মতোই ওদের জীবন দামি।
যারা আমাদের মুখে ও কানে মিষ্টি মধু দেয়,
তাদের আমরা তেতো কথা বলবো কেন!


ভাবছি জীবন ও জীবিকা কত কঠিন হতে পারে
কেবল হিংস্র প্রাণী এ কথা জানে!


২) কথা


ঘরের কথা বাইরে নয়,
বাইরের কথা ঘরে না আনাই উচিত-
এতে সংসার সুখের হয়।


হায় ভগবান!
অন্তরের কথা যদি বাহির না শোনে
আর বাহিরের কথা যদি না শোনে অন্তর,
অন্তর বাহির হয়ে যাবে আলাদা।
যে জীবনে অন্তর বাহির মেলে না,
সে জীবনের অস্তিত্ব কোথায়!
অন্তর বাহির মেলার নামই জীবন।
আর জীবন না থাকলে সংসার কোথায়?