ক)


নারী, তুমি আমার দোষ না ধরে,
নিজের মাথায় তুমি তা নিয়ে নিলে-
রবি ঠাকুরের কলঙ্কভাগী গান গেয়ে।
আমার জন্য রেখে গেলে
একজন গুণী যেভাবে গান করে, তারই তরঙ্গ।
আমার বীরত্বের কারণে তোমার যে যন্ত্রণা,
তা দেখে আমি বীর থেকে মহান হলাম।
বীর যোদ্ধা কখনোই মহান নয়,
মহান হলেন দয়াবান সন্ন্যাসী।
আমি তোমার হৃদয়ে সন্ন্যাস গ্রহণ করলাম-
নিজের দোষ ঢাকতে নয়,
নিজের সৎসাহস জাহির করতে।


খ)


নারী, তোমায় আমি বিশ্বাস করে ঠকেছি।
আমার গুণকে তুমি প্রাধান্য না দিয়ে,
দেখিয়ে দিলে আমার দোষ,
ঢাকলে নিজের বলিরেখা।
আমি অভিমানী হয়ে সরে গেলাম চিরতরে
কারণ যেখানে মানের বৈরিতা, সেখানেই অভিমান।
আমি চললাম মন্দিরে, সন্ন্যাস নিতে,
কারণ সব পুরুষ চরিত্রহীন হতে পারে না।
তোমার কাছে আর আমি ফিরবো না-
আমি বাঁচবো আমার নিজের অন্তর নিয়ে-
তোমার অন্তরে ঠাঁই পাইনি বলে।  
আমার মন আজ শূন্য তোমারই বিরহে...