স্বামী মারা গেলেন বাইক দুর্ঘটনায়।
তখন বড় ছেলে অষ্টম শ্রেণীতে পড়ে
আর ছোটটা পড়ে দ্বিতীয় শ্রেণীতে।
আমার মাথায় ভেঙে পড়লো গোটা আকাশ-
লোকের বাড়ি কাজ করা থেকে দোকানে বসা,
বাড়ি বাড়ি জিনিস বিক্রি করা থেকে ইস্কুলে রান্না বান্না করা-
কি আমি করিনি!
শ্বশুর বাড়িতো দূরের কথা বাপের বাড়িও সাহায্য করেনি-
ভালোবেসে বিয়ে,
তাই সুখে দুঃখে কোনো ভাবেই পাশে থাকেনি কেউ।  
বড় ছেলেটা তখন দশম শ্রেণীতে পড়ে-
মতদানের উৎসবের সময় দুষ্কৃতীর গুলি আচমকা লাগলো ওর ডান চোখের নিচে।
ওর বন্ধু এসে খবর দিলো,
'কাকিমা চলুন, আপনার ছেলে শেষ হয়ে যাচ্ছে'।
আমি ছুটে গেলাম,
দেখলাম ছেলেটা রক্তের ওপর ভাসছে।
প্রাণে বেঁচে গেলো এই যা।
ওকে লেখাপড়ার জন্য আর চাপ দিই নি।  
এখন লোন নিয়ে গাড়ি কিনে চালায়,
ভাড়া খাটায়-
ব্যবসা করে,
সাহায্য করে আমায়।
ছোটটা এখনো পড়ছে...