১)


নৌকা সাক্ষী।
জলে ভেসে গেল সিঁদুর-
টের পায়নি কাক পক্ষী।


কাজের তাগিদে ঘুরতেন কলিগের সাথে,
সন্দেহের বশে স্বামীর রক্ত জবা চোখ।
বড় মানুষের পাপ টাকার বলে ধুয়ে যায় গরীবের শেষ পাতে।


নির্দোষ প্রাণ অকালে বলি।
সে আবার বিয়ে করে সুখী-
মানুষের মনের ভিতরেও একটা পাকস্থলী।


ভালোবাসে হৃদয়বান।
ঘৃণা করে কুটিল।
ধাক্কা মারে শয়তান।


২)


তোলা তুলতে এসে
তুলে নিয়ে আসা।
সুন্দরীকে বিয়ে-
নির্দয়ের ভালোবাসা।


অন্ধকারের নির্যাতন।
কন্যা সন্তানের মা।
বাঁচার তাগিদে আলোর সন্ধান-
বড় করে তোলা নিয়মের পা।


ঘাত প্রতিঘাতের মধ্যে প্রদীপ জ্বলে আর নেভে-
বদ্ধ প্রাণ ধরে নতুন হাত:
সকলের অজান্তে।
মেয়েও ভালোবাসে একই মানুষ- ভিন্ন জীবনের একই খাত।


সত্য বড় নিষ্ঠুর-
জল হয়ে জমে থাকে হাঁটুতে।
মাকে এ মুখ দেখাবে কীভাবে?
ছাদ থেকে লাফ দিল ভূমিতে।


৩)


ছোট ছেলের অংকের মাস্টার।
সস্তা মনে দুঃখের দায় নিরুদ্দেশ।
হাত ধরে চলে যাওয়া।
ছোট মানুষটার মাথায় বাজ, ভোগান্তি অশেষ।


বত্রিশ নাড়ীর দাম-
ভগবান শুধতে অপারগ।
স্নেহ মমতা হারায় তৃষ্ণার মরুতে-
প্রেম মানে মুক্তি, আবার রোগ।


নতুন বন্ধনে মুক্তির হাওয়া।
পুরানো মানে অতীত।
আশাতীত আনন্দে হৃদয়ের ভাটা-
দুঃখ ভোলে অমানুষ, মানুষে গায় বেদনার গীত।


বাবার হাত ধরে সকাল বিকেল।
নরম কচি হাত এখন পাথর ভাঙে।
দাদা হওয়ার অনাবিল আনন্দে মিশে আছে পাঁক-
তার মতোই কী আরেকটা প্রাণ ভাসবে গাঙে !


৪)


বন্ধনের পরে আবার বন্ধন।
ঘর ভেঙেই ঘর গড়ে।
তবু জোড়ে না ভাঙা মন-
পার্থক্য আছে আপন পরে।


দুই সন্তানের মা
এখন লোকের বাড়ি কাজ করে খায়।
সে সুখী নতুন সংসারে-
বেদনার ঢেউ ভেঙে যায় আনন্দ উল্লাসের ঘায়।


চাকরি ছেড়ে জায়গা করে দেওয়া-
চাকরি থাকলে হয়ত প্রথমেই শোধরাতো ভুল।
অসৎ অনেক জাতের হয়,
তবু সব বেঈমানের একই কুল।


আর নতুন বন্ধন নয়,
সন্তানই শ্রেষ্ঠ বন্ধন।
নাড়ীর টান চরম সত্য-
নতুন সম্পর্কে নারাজ মন।