ঘুমের সময় ঘুম আসে না।
রাত জেগে পাহারা দিই নিজের নির্জনতা।
চোখ বুজি ঘুমের আশায়,
তবু ছেড়ে যায় না হতাশা।
রাতে ঘুম না এলে
দিনের আলোর ভিড়ে লাগে অন্ধকার।


কাজের সময় ঘুম আসে।
টলমল অস্তিত্বের ভিড়ে জাগতে চেষ্টা করি প্রহর।
দিনে চোখ বুজলে
নিজের জায়গায় দাঁড়াবার জায়গাটাই যাবে হারিয়ে,
দুটো পায়ের ছাপের ওপর দেহ রাখার অবকাশ পাবো না।


এসব মিছে বকছি।
রাতে ঘুম ঠিকই আসে।
দিনেও কাজ করি বেশ।
তবু কীসের এতো টানা পোড়েন!


ভেবে দেখুন, যে রাতে আমি ঘুমোতে যাই,
সেই রাতে দুধ না পেয়ে হাহাকার করে শিশু।
যে ভোরে আমি জেগে উঠি স্বমহিমায়,
সেই ভোরে শিশুটি মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে।
রোজ রোজ এই একই জিনিস তামাম বিশ্বে।
বলুনতো, আমি কীভাবে নিশ্চিন্তে ঘুমোতে যাই ,
অথবা নিশ্চিন্তে শুরু করি পরে দিনের কাজ !
যেখানে শিশুটির বাঁচার ছাড়পত্র নেই,
সেখানে আমি বাঁচি কোন অধিকারে ?