১)


বিষণ্ণ মানুষ লিখতে পারে না।
কেউ লিখছে মানে সে ভাবুক-
ভাবুক মানুষ বিনয়ী হয়, বিবেকী হয়-
তাই তার ব্যথা অনেক বেশি: বিষণ্ণ মানুষের থেকেও।
কিন্তু সে বিষণ্ণ নয়, সমাজ ভাবতে পারে।
সে বিজেতা।


২)


লোকে বলে, আগে নিজেকে ভালোবাসো।
বহু মানুষ আছে,
যারা নিজের থেকেও নিজের কাজকে বেশি ভালোবাসে-
যেমন সৈনিক দেশের জন্য আত্মবলিদান দেয়।
এই কাজ পাগল মানুষেরাই জীবনে বড় হয়।
যে কেবল নিজেকে ভালোবাসে, সে স্বার্থপর,
সে জীবনে কখনোই সফল হতে পারে না।
যেমন যে কবি কেবল নিজের কথা বলে,
সে তলিয়ে যায়;
যে বলে আপামর সমাজের কথা, সে পুরস্কার পায়।


৩)


সেই আইনস্টাইন কবে কী করে গেছেন,
কেবল তা নিয়ে যদি পড়ে থাকি,
তাহলে করোনার টিকা কে বানাবে?
সব যুগেই যেমন বিজ্ঞানীদের দরকার,
তেমন দরকার কবি সাহিত্যিকদেরও।
রবি ঠাকুর একজনই জন্মান-
কিন্তু এই পৃথিবীতে জীবনই যদি বেঁচে না থাকে,
সেই সূর্যের তেজ কে অনুভব করবে বলুন!


৪)


ভগবান সাম্যবাদী নন
কারণ তিঁনি সর্বদা বড়লোকের দলে।  


৫)


বিপদের ভয়ে ভগবানকে ডাকি
কিন্তু ভগবান যদি বিপদের ভয় দেখান, তখন কাকে ডাকবো?


৬)


যত জ্বালা গরীবের-
ঝড়ে মরে, সাপে কাটে, জলে ডোবে, চাকার তলায় পিষে যায়...
একেবারে কুকুর বিড়ালের মতো।
বড়লোকেও অপঘাতে মরে-
মদ খেয়ে গাড়ি চালিয়ে, ড্রাগের নেশা করে,
বান্ধবীদের সাথে নৌকো করে মাঝ গঙ্গায় ফুর্তি করতে গিয়ে...
রাজার মতো।
বড়লোকের মৃত্যু কাগজে ছাপা হয়,
গরীবের মৃত্যুতে পোকাও কাঁদে না।