. # 'ফিরে দেখা কবিগুরুকে জন্মদিনে'#
(ছড়া)
সাধারণের চিন্তার বাইরে তাঁর জ্ঞানের বিশালতা
বোধহয়...ছায়াপথ পেতে পারে তুলনার যোগ্যতা।
বাংলা সাহিত্যে সর্বমুখী প্রতিভায় তিনি 'বটবৃক্ষ'
তাঁকে টপকে যাওয়া !! ভবিষ্যতেও হবে অসাধ্য।
সমসাময়িক বা পরবর্তী কবিরা পড়েছেন চাপা!
শুধু ভিন্নধর্মী প্রতিভা, কবি কাজী নজরুল ছাড়া।
অঢেল সুখে বা অসীম দুঃখে থাকতেন ধীরস্থির,
মননে, জীবন পথে... প্রকৃত ঋষি ও প্রকৃত বীর।
সে সময় বাঙালির খ্যাতি ছড়াত না বিশ্বদরবারে -
যদি না আবির্ভূত হতেন বঙ্গে...'গীতবিতান' হাতে।
ভিন্ন করা যায় না শান্তিনিকেতন-আশ্রম ও প্রকৃতি,
প্রাচ্য সংস্কৃতির বাহক, পেলো ইউনেস্কো স্বীকৃতি।
চিত্রশিল্পী হিসেবে পরিচিতি বিশেষ নেই হয়তো,
শুধু আঁকলেও এক বরেণ্য আর্টিস্ট পেতো বিশ্ব।
"জাতের নামে বজ্জাতি" তাঁর ছিল চোখের বিষ
তাঁর আশ্রমে মিলেমিশে থাকত উচ্চ-নীচ-দলিত।
ভয় হয় ! বাড়তে দেখে রবীন্দ্র সঙ্গীতের বিকৃতি
এমন দিন যেন না আসে, মূল ধারা হবে 'আদি'।
জন্ম আর মৃত্যু দিনে, তাঁর সঙ্গীতে হয় 'বানভাসী'
ক্ষীয়মাণ... প্রতিদিন জনজীবনে তাঁর উপস্থিতি।
বিস্মৃতিতে তাঁর সাহিত্য কিন্তু উজ্জ্বল গীতবিতান,
তাই তিনি সমস্ত বিশ্বের কবি, প্রথম সারিতে স্থান।
জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যা দিয়েছিল প্রবল নাড়া
নাইটহুড উপাধি ফেরানো তাঁর, ফেলেছিল সাড়া।
'নোবেল-প্রাইজমানি' দিয়ে হয় আশ্রমের নিকাশী
তবুও তাঁকে, বুর্জোয়া বলে শুনতে হয়েছে কটুক্তি।
এক'শ-চৌষট্টিতম জন্মদিনে রইল বিনীত শ্রদ্ধার্ঘ্য
প্রার্থনা করি তাঁর পুনর্জন্ম...করতে বঙ্গ কলুষ মুক্ত।
*****************************
সুব্রত ভৌমিক ০৮-০৫-২০২৪ কোল-৭৫
২৫শে বৈশাখ
*****************************