.                  # 'কাজীর বিচার' #
                         (কবিতা)


মাসখানেক ধরে.....
আদালতে চলছিল এক কঠিন মামলার বিচার
একই চুরির ঘটনায়, দু'জন হয়েছেন অভিযুক্ত
বয়স্ক গরীব ব্রাক্ষ্মণ আর পুলিশের  পাহারাদার।


সত্যি ঘটনাটি ছিল....
অতিথি ব্রাক্ষ্মণ শুয়ে ছিলেন, দাওয়ায় রাতে
পুলিশ কনস্টেবল চুরি করে পালাবার সময়
ধরা পড়ে যায় বামাল সহ ঐ ব্রাক্ষ্মণের হাতে।


ধরা পরে পুলিশের কনস্টেবল মতলব আঁটে
" চোর চোর" চিৎকার করে...ব্রাক্ষ্মণকে চেপে।
দু'জন দু'জনকে জড়িয়ে চোর-চোর ডাক ছাড়ে
মহল্লার লোক, দুজনকেই থানায় চালান করে।


কোর্টে কাজী সাহেবের হল সমস্যা জোরদার
সাক্ষী-সাবুদ ছাড়া কোন পথে হবে এর বিচার?
পুলিশের লোক এসে বলে, কস্টেবল খুব সৎ
এই চুরি করতেই পারেনা সে, সাধু তার ধাত্।


বিচারক রের করেন এক পথ, অনেক ভেবে,
ভরা আদালত কক্ষে দুই শুধু আসামীকে বলেন
সদ্য দুর্ঘটনায় মৃত এক লাশ, কোর্টে বয়ে আনতে
লোকজন ও পুলিশরা থাকবে, অনেক তফাতে।


লাশ কাঁধে ফেরার সময়, মজা করে বারবার
চাপা স্বরে পুলিশ বলে "কেমন দিলাম বামুন?
তোর কথা...বিশ্বাসই করবে না কেউ আর,
চুরির অপরাধে সারা জীবন পচে-মর গরাদে"
"ভগবান আছেন"... ব্রাক্ষ্মণ বলেন নয়ননীরে।


কোর্টে পৌঁছেই সোজা উঠে পড়ল সেই মড়া!
কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে, কাজীকে বল্ল উচ্চস্বরে
"হুজুর ব্রাক্ষ্মণ নিরাপরাধ, কনস্টেবল অপরাধী
শুনেছি স্বীকারোক্তি নিজের কানে বারেবারে"।


লাশের অভিনয় করেছিলেন কাজীর বিশ্বস্ত সহকর্মী,
অমর সহিত্যিক বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, সেই কাজী।


******************************
সুব্রত ভৌমিক  ২৬-০৬-২০২৩  কোলকাতা-৭৫
******************************
আজ অমর সাহিত্যক ৺ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের
জন্মদিন স্মরণে আমার শ্রদ্ধাঞ্জলি কবিতায়।
কবিতাটি আলোড়ন ফেলা সত্যি ঘটনার উপর লেখা।
******************************